স্টোনহেঞ্জ রিভারসাইড প্রজেক্টের প্রধান মাইক পারকার পিয়ারসনের মতে এটি শুরু থেকেই কবরস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হত। আবার বিভিন্ন প্রত্নত্ত্ববিদগণের ধারনা অনুযায়ী স্টোনহেঞ্জ সেসময় বিশেষ ঋতু চিহ্নিত করার জন্য মানমন্দির হিসেবে হিসেবে ব্যবহার করা হত।
ধারনা করা হয় নবপোলীয় যুগের মানুষের নিজের হাতে তৈরি প্রাগৈতিহাসিক যুগের একমাত্র নিদর্শন স্টোনহেঞ্জ। ১৩ফুট লম্বা ধূসর বেলে পাথর ব্যবহার করে তৈরী হয়েছে এটি। বেলেপাথর গুলোকে প্রায় বৃত্তাকারে মাটিতে পুঁতে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। সব পাথরের উচ্চতা মোটামুটি সমান। সেগুলোর মাথায় লিনটেল বা আড়া ব্যবহার করে একটির সঙ্গে অন্য পাথরটিকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। লিনটেল হিসেবে ব্যবহৃত পাথরগুলোও বিশাল আকৃতির।প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে স্টোনহেঞ্জ তিন ধাপে তৈরী করা হয়েছিল। প্রথম ধাপে খ্রিস্টপুর্বাব্দ ৩০০০ এর কাছাকাছি সময়ে প্রথমে নবপোলীয় যুগের মানুষরা হরিণের শিং ব্যবহার করে ৩২০ ফুট পরিখা খনন করে। খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ এর কাছাকাছি সময়ে ৬০ টি ব্লুস্টোন খাড়া ভাবে বসানো হয়।সময়টা তখন ছিল ব্রোঞ্জ যুগ। সে সময় পাথর গুলো আনা হয় ২৪০ মাইল দূর থেকে। প্রায় একশত বছর পর তৃতীয় ধাপে এসে বাকি পাথর গুলোকে বৃত্তাকারে সাজানো হয় এবং এর উপর পাথর দিয়ে সরদল স্থাপন করা হয়।তৈরী হয় মূল স্টোনহেঞ্জ। এই পাথরগুলোর ওজন ছিল ৫০ টনের কাছাকাছি বা তার থেকেও বেশি। প্রায় ২০ মাইল দূর থেকে এগুলো কে টেনে আনা হয়।