তামিম ইকবাল আর ইমরুল কায়েসের উদ্বোধনী জুটিটা হলো দারুণ। দেশের পক্ষে পঞ্চম সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটিটা স্বপ্ন দেখিয়েছে অনেক বড় কিছুরই। দুই ব্যাটসম্যান জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে যেভাবে খেলছিলেন, মনে হচ্ছিল একমাত্র নিজেরা ভুল করলেই কেবল এই জুটি আলাদা হতে পারে।
ভুল করেই বিচ্ছিন্ন হলেন দুজন। প্রথমে ইমরুল, পরে তামিম। দুজনই ফিরলেন স্টাম্পড হয়ে, দুজনই একই অঙ্কে—৭৩। ইমরুল-তামিমের বিদায়ের পর দলের ব্যাটিংটাও যেন পথ হারিয়ে ফেলল খুব দ্রুতই। ২ উইকেটে ১৯০ ছিল স্কোর। হুট করে সেটাই দেখাচ্ছিল ২ উইকেটে ২২৬! নাটকীয়ভাবে বেঁচে যাওয়া মাহমুদউল্লাহ ৪০ বলে ৫২ রানের ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে করল ২৭৬। সিরিজে এখন পর্যন্ত দুই শ পেরোতে না-পারা জিম্বাবুয়ের জন্য কঠিন পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে।
বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে চোখ আটকে থাকছে কেবল তিনজনের ওপর। এদের দুজনই আবার ওপেনার। মুশফিকুর রহিম দারুণ খেলছিলেন। ২৮ রান করেই কী যেন হলো তাঁর। তিনিও স্টাম্পড! ওয়ানডে ক্রিকেটের ৪৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়লেন।
লিটন দাসের ওপর আস্থা রেখেছিল দল। কিন্তু সেই আস্থার যথাযথ প্রতিদান তিনি দিতে পারেননি। ১৭ রানে শেষ হয়েছে তাঁর ইনিংস। ৪১ ইনিংস পর প্রথম ওয়ানডেতে শূন্য পাওয়া নাসির হোসেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় হংসটিকে নিয়ে ফিরলেন এক ম্যাচ বাদেই। ১৪৭ রানেও কোনো উইকেট পড়েনি যেখানে, পরের ৭৫ রান যোগ করতেই হারাতে হলে চার উইকেট। সবচেয়ে বড় কথা, জিম্বাবুয়ে এ সময় বড় একটা ধাক্কাই দিল। ২২২ থেকে ২২৬-এ স্কোর থাকতে থাকতেই সাজঘরে ফিরলেন আরও তিনজন।
আউট, নট আউটের বিভ্রান্তিকর নাটকটা না হলে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যেত ২৩৬/৭। সবচেয়ে বড় কথা, আর কোনো স্বীকৃত ব্যাটসম্যান থাকত না উইকেটে। জিম্বাবুয়ে তাই মরিয়া ছিল। এবং শেষ পর্যন্ত বেঁচে যাওয়া সেই মাহমুদউল্লাহর ব্যাটেই বাংলাদেশ পেল বড় পুঁজি। মাশরাফিও ১১ বলে ১৬ রান করে বড় ভূমিকা রাখেন। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তাঁর জুটিটা ২৪ বলে ৩৭ রান যোগ করেছে স্কোরবোর্ডে।