অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ বন্ধের কৌশল

Author Topic: অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ বন্ধের কৌশল  (Read 1106 times)

Offline Sahadat

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 305
  • Test
    • View Profile
যারা ভোজন রসিক বা বেশি খেতে পছন্দ করেন তারা সবসময় যে নিজের ইচ্ছাতেই বেশি খান তা নয়। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, একাকীত্ব, একঘেয়েমি ইত্যাদি কারণে আমাদের অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়। যাইহোক, অতিরিক্ত খাওয়া নতুন কিছু নয়। তবে সুস্থ থাকতে হলে অতিরিক্ত খাবার নিয়ন্ত্রণ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক আমরা কেন মাত্রাতিরিক্ত খাই এবং তা থেকে বাঁচারই বা উপায় কী?

১. বন্ধু: আপনি অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর ডায়েট চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে যখন কোনো রেস্টুরেন্টে যাচ্ছেন তখন ভাজা খাবার না খেয়ে পারছেন না। তবে মনে রাখা দরকার, আপনি স্বাস্থ্যকর ডায়েট পালন করছেন ওজন কমানো বা শারীরিকভাবে ফিট থাকার জন্য। স্বাস্থ্যকর ডায়েট আপনাকে সুস্থ রাখবে, আপনার বন্ধুদের নয়। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের সিদ্ধান্তে অটল থাকুন। দেখবেন একসময় আপনার বন্ধুরাও আপনাকে অনুসরণ করছেন।

২. খাবারের পাত্র: খাবারের পাত্রের আকারের ওপরও বেশি খাওয়া বা কম খাওয়া নির্ভর করে। বড় কিংবা নান্দনিক প্লেট রেস্টুরেন্টে ভাল দেখায় কিন্তু প্রতিদিন খাবার গ্রহণের জন্য মাঝারি বা ছোট প্লেটে খাবার গ্রহণ করা উচিত। তাহলে দেখবেন খাবার গ্রহণের পরিমাণও কমবে।

৩. বার্ন আউট: প্রায়ই দুর্বলতা বা ক্ষুধা মেটানোর জন্য আমরা ভুল পদক্ষেপ নেই। প্রতিরাতে কমপক্ষে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। তাছাড়া, আপনি কখন বেশি ক্লান্ত হন সেই সময়টা মনে রাখুন। তখন জাঙ্ক খাবার না খেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারেন।

৩. দ্রুত খাবার গ্রহণ: অনেকেই আছে ১০ মিনিটের কম সময়ে খাবার খাওয়া শেষ করে ফেলেন। অন্তত ২০ মিনিটের আগে খাবার খাওয়া শেষ করে ফেললে অতিরিক্ত খাওয়ার ঝুঁকি থাকে। খাবার ধীরে খান এবং ভাল করে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

৪. একঘেয়েমি: অনেকেই আছেন টিভি দেখতে বসে, অফিসে মন খারাপ হলে বা একা একা থাকলে একঘেয়েমিতা কাটানোর জন্য চিপস বা অন্য কিছু খেতে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, লাখ লাখ মানুষ অতিরিক্ত খাওয়ার এটা অন্যতম কারণ। এমন পরিস্থিতি হলে মূল সমস্যাটি চিহ্নিত করুন। কোনো কাজে ব্যস্ত থাকুন যেন আপনাকে অতিরিক্ত খেতে না হয়।

৫. পানিশূন্যতা: আপনার যদি পানি কম পানের অভ্যাস থাকে তাহলে অন্য কিছু আপনি খাবেনই। চেষ্টা করুন সারাদিনই বেশি বেশি পানি পান করতে। বিশেষ করে প্রতিবার খাবার গ্রহণের আগে কমপক্ষে এক গ্লাস পানি পান করুন। ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমানোর আগে পানি পান করুন।
Sahadat

Offline Anuz

  • Faculty
  • Hero Member
  • *
  • Posts: 1988
  • জীবনে আনন্দের সময় বড় কম, তাই সুযোগ পেলেই আনন্দ কর
    • View Profile
Helpful post.
Anuz Kumar Chakrabarty
Assistant Professor
Department of General Educational Development
Faculty of Science and Information Technology
Daffodil International University