এক মাসের ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম আরেক দফা কমেছে। গতকাল শনিবার থেকে বিভিন্ন মানের সোনার দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ২২৪ টাকা কমানো হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এ দাম কমানোর ঘোষণা দেয়।
এর আগে সর্বশেষ গত ৯ নভেম্বর আগের দফায় সোনার দাম কমানো হয়েছিল। এরপর গতকাল আরেক দফা কমানো হলো। শনিবার থেকেই নতুন দাম কার্যকর বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট সোনা আজ থেকে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ৪১ হাজার ২৯০ টাকা ৫৬ পয়সায় বিক্রি হবে, যা এত দিন ছিল ৪২ হাজার ৫১৫ টাকা ভরি। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা আজ থেকে ৩৯ হাজার ১৯১ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩২ হাজার ৫৪২ টাকা ৫৬ পয়সায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ২১ হাজার ৪৬২ টাকা বিক্রি হবে।
বাজুস জানিয়েছে, মানভেদে প্রতি ভরিতে সোনার দাম ১ হাজার ২২৪ টাকা কমেছে। সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগের দফায় অর্থাৎ ৯ নভেম্বর থেকে প্রতি ভরিতে সোনার দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা করে কমানো হয়েছিল।
এদিকে, সোনার দামের পাশাপাশি কমেছে রুপার দামও। ২১ ক্যাডমিয়ামের প্রতি ভরি রুপার দাম আগের চেয়ে ৫৮ টাকা ৩২ পয়সা কমে গতকাল থেকে বিক্রি হচ্ছে ৮৭৫ টাকায়।
গত আগস্ট মাস থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতি মাসেই সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করে আসছে সংগঠনটি। আগস্ট থেকে ডিসেম্বর—এই পাঁচ মাসের মধ্যে তিন দফায় দাম কমেছে আর দুই দফায় বাড়ানো হয়।
বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৩ আগস্ট সোনার দাম প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫১৬ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর এসে এ দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা পর্যন্ত কমানো হয়। আবার ১৫ অক্টোবর এ দাম ভরিতে ১ হাজার ৫১৭ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। আর ৯ নভেম্বর ও ৫ ডিসেম্বর পরপর দুই দফায় সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৪৪৯ টাকা কমানো হয়েছে।
জানতে চাইলে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক খান গত সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, আমরা যখন সমিতির সভা করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তখন আন্তর্জাতিক বাজারেও দাম কম ছিল। ওই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বেড়ে গেছে। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তি এ দাম না কমে তাহলে দু-এক দিনের মধ্যে আবারও দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়াতে হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাজারে দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতার বিষয়ে জানতে চাইলে এনামুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার কম দাম খুব বেশি স্থায়ী ছিল না। যে কারণে আমরা কম দামে কেনার সুযোগ পাইনি। আমাদের বাড়তি দামেই কিনতে হয়েছে।