আপনার ছোট্ট সন্তান যখন আধো আধো বোলে কথা বলতেশেখে তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় তাকে পড়তে বসানো,একটু একটু করে ছড়া, অক্ষর, গল্প শেখানর তোড়জোড়। তোড়জোড় না করে উপায় আছে? কদিন পরেই যে তাকে ঢুকতেহবে স্কুলের আঙ্গিনায়। শিশুকে কিভাবে পরাতে বসাবেন বা কি উপায়ে পড়লে শিশুর উপর তেমন কোন চাপ না দিয়েই পড়াশুনার কাজটি করিয়ে নেওয়া যাবে তা নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই অনেক বাবা-মায়ের। কিভাবে এ বিষয়ে কাজ করতে পারেন এ ব্যাপারে জেনে নিন আজঃ
শিশুকে পড়াশুনা শেখানোর সময় যে তিনটি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে সেগুলো হলোঃ
১। বাক্য গঠনে শেখা,
২। অক্ষর দেখে বুঝতে পারা,
৩। গান, ছড়া, কবিতা শুনে মনে রাখা।
প্রথমটি ক্ষেত্রে বাবা-মাকে লক্ষ্য রাখতে হবে শিশুর কথা বলা এবং যোগাযোগের সময় সে যাতে সঠিকভাবে শব্দ ব্যবহার করে বাক্য গঠন করতে পারছে এবং তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছে। এক্ষেত্রে শিশুকে সাহায্য করতে আপনার করণীয় কাজগুলো হলোঃ
উচ্চস্বরে শিশুকে গল্প বা ছড়া পড়ে শোনানো,
যখন শিশুকে বইপড়ানো হয় তখন যে আইনটি পড়া হচ্ছে তা আঙ্গুল দিয়ে নির্দেশ করা,
শিশুকে বেশি বেশি করে কথা বলতে এবং বাক্য গঠন করতে উৎসাহিত করা।
এরপর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো শিশুকে অক্ষর বা শব্দ চিনতে সাহায্য করা। শিশুকে এই কাজে উৎসাহিত করতে যা করতে পারেন তা হলোঃ
বিভিন্ন রকম শব্দ এবং শব্দের মাঝে যেসব অক্ষর থাকে তার সাথে শিশুকে বারবার পরিচয় করিয়ে দেয়া যাতে করে শিশু অক্ষর এবং শব্দের বিভিন্ন ব্যবহার শিখতে পারে।
বিভিন্ন রকম বই পড়া কিংবা বই পড়ে শোনানোতে শিশুকে আগ্রহী করে তোলা।
আর শিশুর কোনকিছু শুনে মনে রাখার ক্ষমতা গড়ে উঠার জন্য বাবা-মা যা করতে পারেন তা হলো-
শিশুকে বারবার কবিতা, গান ইত্যাদি শোনানো এবং একসাথে বলার অভ্যাস করা,
বিভিন্ন রঙ বেরঙের বই শিশুকে পড়ে শোনানো
বিভিন্ন অক্ষর যতবার দেখানো ততবার তা মুখে উচ্চারণ করে বলা যাতে শিশু বারবার শুনে মনে রাখতে পারে।
http://www.hatihatipa.com/2015/06/27/1355/