স্মার্ট বেবি! নাহ, শব্দটা শুধু শিশুর পোশাক-আশাক কিংবা মিষ্টি চেহারা নিয়ে বলা হয়নি। আপনার সন্তান তখনই সবার চোখে স্মার্ট হয়ে উঠতে পারে যখন তাঁর কথা-বার্তা, চলা-ফেরা সবকিছুতেই থাকবে বুদ্ধিদীপ্ততা আর ভালো কিছু করার মানসিকতা। আর সন্তানকে এভাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে আপনাকেই। শিশুর মস্তিষ্ক উন্নয়নের উপরেই শিশুর সব ধরণের উন্নতি নির্ভর করে। তাই ছোটবেলায় মা ও বাবার আচরণ, কর্মকাণ্ড সন্তানের উপর দারুণ প্রভাব ফেলে। কি করে খুব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে উন্নত মস্তিষ্কসপন্ন করে গড়ে তুলতে পারবেন আদর্শ একটি শিশু হিসেবে তার জন্য আজ রয়েছে ১০ টি টিপস।
১। স্বাভাবিক প্রতিদিনের কাজ যেমন খাবার খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো, আদর করা সবকিছু থেকে শেখার জন্যই শিশুর মস্তিষ্ক তৈরই থাকে। তাই আলাদা করে শুধুমাত্র শিক্ষামূলক জিনিসের উপর জোর করার কিছু নেই।
২। শিশুর স্বাভাবিক উন্নতি ও বৃদ্ধির জন্য তার ভরপেট শরীর, শুকনো ডায়াপার ও একটি আরামদায়ক পরিবেশ-এই তিনটি জিনিস খুব জরুরী। তাই এক্ষেত্রে কোন রকম গাফিলতি চলবে না।
৩। আপনার সন্তানের সাথে যত বেশি পারুন কথা বলুন, কথা বা গল্প শুনে শিশুরা অনেক কিছুই ছোটবেলা থেকে শিখতে পারে। তাকে বই পড়ে শোনান যত বেশি সম্ভব।
৪। শিশুর সাথে যত ধরণের খেলা করা যায়, যতভাবে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ব্যস্ত রাখা যায় ততই এসব তার মানসিক বিকাশে ভূমিকা রাখে। তাই মেতে উঠুন সন্তানের সাথে মজার সব খেলায়।
৫। আপনার সন্তানকে চার দেয়ালে বন্দি না রেখে তাকে নিয়ে বেড়াতে যান, নতুন নতুন জায়গা-পরিবেশের সাথে পরিচয় করিয়ে দিন।
৬। নির্দিষ্ট সময় করে শিশুর শরীর ম্যাসেজ করুন প্রতিদিন, এতে শিশুর দেহ আরও বেশি শক্ত-সামর্থ হবে।
৭। শিশুর জন্য বিভিন্ন রকমের রঙ বেরঙের খেলনার ব্যবস্থা করুন, তাকে গান শোনান। শিশুর বয়সের সাথে সামঞ্জস্য রেখে খেলনা বাছাই করুন।
৮। শিশুকে আপনি যা শেখাতে চাইছেন তা বারবার বলুন বা বারবার করুন, এতে শিশু বুঝতে পারবে আপনি কি করতে চাইছেন ও তাকে কি বলতে চাইছেন।
৯। শিশুর সাথে মজায় নেতে উঠুন সবসময়। তাকে হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত রাখুন যতটা সম্ভব।
১০। বারবার শিশুর মস্তিষ্ক উন্নয়ন, দেহের বৃদ্ধি এসব চিন্তা করতে যেয়ে শিশুর অনুভূতির দিকটা ভুলে যাবেন না। মনে রাখবেন তার ও ইচ্ছা-অনিচ্ছা রয়েছে। তাই শিশুর ইচ্ছা,অনিচ্ছার দিকে খেয়াল রাখুন যাতে সে বিরক্ত না হয়ে যায়।
http://www.hatihatipa.com/2014/06/23/1083/