সন্তানকে দূরে পাঠানোর পর
সন্তান তার পড়ালেখা আর জীবনযাপন সম্পর্কে যা বলছে তা বিশ্বাস করবেন। কিন্তু অবশ্যই তা স্থানীয় অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্য কোনো মাধ্যম থেকে যাচাই করে নেবেন। তবে আপনার আচরণে যেন কখনো এমনটা মনে না হয় যে আপনি সন্তানকে অবিশ্বাস করছেন বা তাকে সন্দেহ করছেন। প্রতিটা ক্ষেত্রে যাচাই না করে মাঝে মাঝে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে যাচাই করবেন।
* কেবল সন্তান কবে বাড়িতে আসবে সেটার অপেক্ষা না করে মাঝে মাঝে বাবা-মা নিজেরাই সন্তানের হোস্টেলে চলে যেতে পারেন। তবে কখনোই এমন কোনো কথা বলা বা আচরণ করা উচিত হবে না যাতে সে তার বন্ধুদের সামনে হীন বোধ করে।
* তার নির্ধারিত খরচের বাইরে সে বাড়তি টাকা চাচ্ছে কি না সেটার দিকে নজর দিন। কখনো খুব বেশি বাড়তি টাকা তাকে দেবেন না।
* তার বন্ধুদের সম্পর্কে জানুন। তাদের সঙ্গে পরিচিত হোন, প্রয়োজনে তাদের বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ান।
* সন্তান বাড়িতে এলে তার আচরণ পর্যবেক্ষণ করুন। তার পড়ালেখা, ধর্মচর্চা, সম্পর্ক, বন্ধুত্ব, প্রেম নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলুন। তার মধ্যে রাতজাগা, অস্বাভাবিক মুঠোফোন ব্যবহার, কিছু গোপন করার চেষ্টা দেখলে সতর্ক হোন। নেশার কোনো লক্ষণ আছে কি না যাচাই করুন।
* সন্তানের প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। তাঁর কাছ থেকে প্রকৃত তথ্য নিন। তার ফলাফল জানতে চান।
* স্থানীয় একজন অভিভাবক ঠিক করে দিতে পারেন। যার মাধ্যমে নিয়মিত খোঁজ নিতে পারবেন।
* টেলিফোনে নিয়মিত তার সঙ্গে কথা বলুন, যোগাযোগহীনতা যেন না হয়।
* তার কোনো আচরণে যদি আপনার মনে হয় সে কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর সঙ্গে মিশছে, তবে অন্যান্য স্বজন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্য নিয়ে প্রকৃত তথ্য যাচাই করুন। এটি তার ভবিষ্যতের জন্যই মঙ্গল।
* অন্ধবিশ্বাস নয়। সন্তানকে ভালোবাসুন তবে অন্ধভাবে তাকে বিশ্বাস করবেন না।
* সন্তান যদি বিপদে পড়েই যায় তবে তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন না। তাকে আইনি পথে নৈতিকতার সঙ্গে সাহায্য করুন। মনে রাখবেন দিন শেষে সে-ই আপনার আদরের সন্তান।