ভারতে জালিয়াতির ঝুঁকিতে ৩০ লাখ ডেবিট কার্ড

Author Topic: ভারতে জালিয়াতির ঝুঁকিতে ৩০ লাখ ডেবিট কার্ড  (Read 798 times)

Offline Shakil Ahmad

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 374
  • Test
    • View Profile


ভারতে বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় ৩০ লাখ ডেবিট কার্ড এটিএম জালিয়াতির ঝুঁকিতে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ডেবিট কার্ডগুলো যখন ইয়েস ব্যাংকের এটিএম বুথে ব্যবহার করা হয়, তখন এটিএম মেশিনের পেছনে বসানো কোনো ম্যালওয়্যারে পিন নম্বরসহ এসব কার্ডের বিস্তারিত তথ্য টুকে ​নেওয়া হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ঝুঁকি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে ইয়েস ব্যাংক, কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক পদক্ষেপ নিয়েছে। ইয়েস ব্যাংকের নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়েছে—এমন ছয় লাখ ডেবিট কার্ড ব্যাংক অব ইন্ডিয়া পুনরায় ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্য ব্যাংকগুলোও তাদের গ্রাহকদের ডেবিট কার্ডের পিন নম্বর পরিবর্তনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। পিন নম্বর ছাড়া ডেবিট কার্ডের আন্তর্জাতিক লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।

ক্রেডিট কার্ড ঝুঁকির বিষয়টি গত জুলাইয়ে ইয়েস ব্যাংকের নজরে আসে। ব্যাংকটির এটিএম সার্ভিস-প্রক্রিয়া পরিচালনা করে হিটাচি পেমেন্ট সার্ভিস নামের একটি কোম্পানি। তবে এটিএম ঝুঁকির বিষয়ে হিটাচি পেমেন্ট সার্ভিস এখনো কোনো মতামত দেয়নি। তারা বলছে, এখনই পিন নম্বর বদলানোর প্রয়োজন নেই। তাদের মতে, সাধারণভাবেই গ্রাহকদের মাঝেমধ্যে পিন নম্বর পরিবর্তন করা উচিত।

ইয়েস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা এটিএম নেটওয়ার্ক স্থাপনের সময় সব ধরনের ঝুঁকি খতিয়ে দেখেছিল। তারপরও এ ঘটনা ঘটেছে।

ইয়েস ব্যাংকের এটিএম সার্ভিসে অন্যান্য ব্যাংকের ডেবিট কার্ডও ব্যবহার করা যায়। তাই ইয়েস ব্যাংকের এটিএম বুথের সংখ্যা কম থাকলেও বহু ব্যাংক এই ডেবিট কার্ড জালিয়াতির মুখে পড়েছে।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, সিস্টেমের যে অংশে ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে, ইতিমধ্যে তা আলাদা করা হয়েছে এবং পরিদর্শন করা হয়েছে। যেসব কার্ডের তথ্য নেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, সেসব কার্ড শনাক্ত করা হয়েছে। শুধু ইয়েস ব্যাংক নয়, এ ঘটনার পর প্রতিটি ব্যাংক তাদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ছাড়া কোনো ব্যাংকে ঝুঁকিপূর্ণ কোনো বিষয় নজরে এলে তা তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নতুন এই ঘটনা ব্যাংকিং-ব্যবস্থায় নিরাপত্তার বিষয়টি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে এনেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংকের এটিএম বুথসংক্রান্ত জালিয়াতিগুলো বেশির ভাগ সময় লুকানো ক্যামেরার মাধ্যমে পিন নম্বর সংগ্রহ করে হয়ে থাকে।