বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব কেমন সেটা আলোচনার সময় এখনো আসেনি। অধিনায়কত্বের দুই বছরের মাথায় কারও সম্পর্কে কোনো রায় দেওয়াটা বাড়াবাড়িই। শেন ওয়াটসন অবশ্য বেশ সাহসী। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডারের মতে কোহলির অধিনায়কত্ব ‘স্বৈরশাসক’দের মতো। তবে স্বৈরশাসক শুনেই কোহলি-ভক্তরা যেন খেপে না যান। প্রশংসা করতে গিয়েই এমনটা বলেছেন ওয়াটসন। তাঁর দাবি এটা ভারত ও ক্রিকেটের জন্য ভালো!
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বেঙ্গালুরু টেস্টের আগ্রাসী কোহলিকে অনেক দিন মনে রাখবেন সবাই। শরীরী-ভাষায় যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে পুরো টেস্টে দলকে খেলিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। সেটা নিয়ে অনেক কথাবার্তাও হয়েছে। কাল সিরিজের তৃতীয় টেস্টে রাঁচিতে মুখোমুখি হবে দুই দল। ওয়াটসন তাই সতর্ক করে দিচ্ছেন উত্তরসূরিদের, ‘বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব অনেকটা অবিচল স্বৈরশাসকদের মতো। অস্ট্রেলিয়ানদের তাই রাঁচিতেও আগের মতোই আক্রমণের শিকার হওয়ার প্রস্তুত থাকা ভালো।’
‘স্বৈরশাসক’ শব্দটার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ওয়াটসন, ‘আমি বলব না ও খুব মেজাজি। ম্যাচের পরিস্থিতির সঙ্গে ওর আবেগও উঠানামা করে। সে জিততে চায়, হারতে অপছন্দ করে। আর অধিনায়ক হিসেবে সে এভাবেই প্রস্তুত হয়। বিরাটের যে জিনিসটা খুব ভালো লাগে, সেটা হলো সে যেকোনোভাবে জিততে চায় এবং সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দেয়।’
অবশ্য মেজাজ দেখানোয় কোহলি একা নন, অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথও কম যাচ্ছেন না এ সিরিজে। মাঠে দুজনের মধ্যে বেশ কয়েকবারই বচসা হয়েছে। মাঠ থেকে বোর্ড, এমনকি আইসিসি পর্যন্ত গড়িয়েছে এ দ্বন্দ্ব। এ নিয়ে তিক্ততা ছড়ালেও ওয়াটসন বিষয়টাকে ইতিবাচক চোখেই দেখছেন, ‘আমি জানি এ সিরিজটা দুজনের জন্য কতটা গুরুত্ব। তারা দুজনই ভয়ংকর-প্রতিদ্বন্দ্বী। বিরাট প্রকাশ করে ফেলে সে জিততে কতটা ভালোবাসে। স্টিভও তেমন, তবে সে অতটা দেখায় না। আমার ধারণা এ দুজন বিশ্বসেরা এবং কিছুদিন পরে তারা সর্বকালের সেরাও হতে পারে। এমন দুজন তরুণ অধিনায়ককে একে অপরের বিপক্ষে লড়তে দেখাটাই সিরিজটাকে অসাধারণ বানিয়ে দিয়েছে। দুজন মানুষ এভাবে দলের জন্য সবকিছু দিয়ে দিচ্ছে—এটা অনেকেই দেখতে পছন্দ করে।’ সূত্র: ডেকান ক্রনিকলস।