‘মেসেঞ্জার ডে’ নিয়ে বিরক্ত অনেকেই
সকালে বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ ফেসবুক মেসেঞ্জারে ঢুকে যদি অ্যাপটির ওপরের দিকে অনেকের ছবি বা ভিডিও দেখেন তবে স্ন্যাপচ্যাট কিংবা ইনস্টাগ্রাম ভেবে ভুল করবেন না। ঘটনা হচ্ছে সর্বশেষ সংস্করণে হালনাগাদ হয়েছে এই মেসেঞ্জার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম স্ন্যাপচ্যাটের আদলে প্রথমে ইনস্টাগ্রামে ‘স্টোরিজ’ সুবিধা এবং ৯ মার্চ ফেসবুক মেসেঞ্জারের নতুন সংস্করণে ‘মেসেঞ্জার ডে’ নামে একই সুবিধা যোগ করে ফেসবুক। অ্যাপ হালনাগাদ করার পর সুবিধাটি এখন বাংলাদেশ থেকেও ব্যবহার করা যাচ্ছে। তবে ফেসবুকের এই ‘কপিক্যাট’ আচরণে অনেক তরুণই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
মেসেঞ্জারে ‘মাই ডে’ আনার পেছনে উদ্দেশ্য যা-ই হোক ব্যবহারকারীরদের প্রতিক্রিয়া কিন্তু মিশ্র। ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে অনেকেই তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। আসিফ ইফতেখার নামের এক তরুণ শিক্ষার্থী লেখেন, ‘মেসেঞ্জার ডে ব্যাপারখানা ভালো নাকি মন্দ সেটা কদিন ব্যবহারেই আরও পরিষ্কার হবে। তবে “ইনোভেশন” ব্যাপারখানাও যে লোপ পাচ্ছে, সেটাই আপাতত আঁচ করলাম।’
অনেকে সরাসরি ক্ষোভ জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তানভীর মাহাদী তাঁর ফেসবুকে লেখেন, স্টোরিজের সফলতা মানে এই না যে সবখানেই এই ফিচারটি ব্যবহার করতে হবে, ভিন্নতা বলে একটা ব্যাপার আছে।
মেসেঞ্জারে ডে নামের নতুন সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহারকারী যেকোনো ছবি বা স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও ‘মাই ডে’ নামে শেয়ার করতে পারবেন। ছবি বা ভিডিওতে বিশেষ আবহ জুড়ে দেওয়ার বিশেষত্ব থাকছে এতে। শেয়ার করা ছবিটি মেসেঞ্জার অ্যাপে ওপরের অংশে পরের ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত দেখাবে। ব্যবহারকারীর ফেসবুকে থাকা অন্যান্য মেসেঞ্জার ব্যবহারকারী বন্ধুও শেয়ার করা ছবিটি একইভাবে দেখতে পারবেন।
মেসেঞ্জারে নতুন হলেও মেসেঞ্জার ডে সুবিধার ধারণা বেশ পুরোনো। ২০১৪ সালে স্টোরিজ নামে সুবিধাটি স্ন্যাপচ্যাটে যোগ করা হয়। গত বছর হুবহু নকল করে ইনস্টাগ্রাম। নামটিও একই রাখে। ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ অকপটে তা স্বীকারও করেছে। এরপর ফেসবুক মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপেও একই সুবিধা চালু করা হয়।