বিরাট কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। একজন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক, অন্যজন গত বছরও সামলেছেন সীমিত ওভারের নেতৃত্বভার। এ দুজনের নেতৃত্ব কিংবা দল সাজানোয় কোনো মিল খুঁজতে যাওয়াটা বোকামি। তবে একজন ঠিকই একই বিন্দুতে মিলিয়ে দিচ্ছেন দুজনকে—রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ধোনি বলুন কিংবা কোহলি দুজনই রণপরিকল্পনা সাজিয়েছেন এই অফ স্পিনারকে মাথায় রেখে।
জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার আগে অশ্বিন আলো ছড়িয়েছেন আইপিএলে। চেন্নাই সুপার কিংসে ধোনির অধীনেই প্রথম খোঁজ মিলেছিল অশ্বিনের। আইপিএল ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও দাগ কাঁটা ধোনির অনুপ্রেরণাতে। বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক সম্পর্কে অশ্বিনের মন্তব্য, ‘ধোনির অধিনায়কত্ব নিয়ে আমার মাথায় সবার আগে যেটা সে, সেটা হলো পরিণতবোধ। মহেন্দ্র সিং ধোনির উদ্দেশ্যে টুপি খোলা শ্রদ্ধা আমার। সে দারুণ করেছে, বিশেষ করে এমন এক দেশে, যেখানে অনেক দিন ধরেই অনেকে তাঁর পতন চেয়ে আসছে। সে দলকে অনেক চাপ থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।’
আবার কোহলির অধিনায়কত্বের দুই বছর না যেতেই এক মৌসুমে সর্বোচ্চ উইকেট পাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন অশ্বিন। ২০১৬ সালের আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন। তাই দুজনের মাঝে পার্থক্যটা সবচেয়ে ভালোভাবে বলতে পেরেছেন এই অফ স্পিনার, ‘বিরাট এখন সে দায়িত্ব নিয়েছে এবং সে পুরোপুরি ভিন্ন একটা মানুষ। সে মুখোমুখি লড়তে পছন্দ করে, সে সবকিছুর কেন্দ্রে থাকতে চায়, সে ভয়ংকর আগ্রাসী। মাঝে মাঝে সে এতটাই আক্রমণাত্মক হয়ে যায়, আমারই ভয় লাগে। আমি তো চিন্তায় পড়ে যাই, এই ফিল্ডারকে রাখব না সরাব (হাসি)। বিরাটের ব্যাপারটা হলো, আপনাকে কখনো ভাবতেই হয় না এখানে যে ফিল্ডারটা রাখা হলো, সেটা আক্রমণের জন্যই কি না।’
তবে এই দুজনের যত পার্থক্য থাকুক, এ দুজনের কাজটা যে কত কঠিন সেটা জানা আছে তাঁর। এ চাপ থেকে মুক্তির উপায়টাও বলে দিয়েছেন অশ্বিন, ‘এটা খুবই শক্তি ক্ষয়ী ও প্রশংসাহীন কাজ। পাঁচ বছর অধিনায়কত্ব করার পর সবারই উচিত স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়া (হাসি)।’ সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।