১। নির্দিষ্ট কোন রুটিনে আবদ্ধ না করা
আমাদের সমাজটা খুব সৃজনবান্ধব না। স্কুল, কোচিং সবখানেই সেই চেনা গৎ। এসো, শেখো, মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় উগরে দাও। শিশুর মানসিক বিকাশের জন্যে এটা মোটেও সহায়ক নয়। এমনিতেই দিনদিন সংকুচিত হয়ে আসছে তাদের বিনোদনের স্থানগুলো। ভরাট হয়ে যাচ্ছে মাঠ, উঠছে হাইরাইজ বিল্ডিং। এমন নিগড়বদ্ধ জীবনে তাকে একটু খোলা বাতাস, একটু নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ দিন। মুক্তি দিন কঠিন রুটিন থেকে। কিছু সময় সে নিজের মত কাটাক না!
২। তিরষ্কার কম পুরষ্কার বেশি
সে কোন ভালো কাজ করলে তাকে বাহবা দিন, অনুপ্রেরণা যোগান, সম্ভব হলে পুরষ্কৃত করুন। এতে সে উৎসাহী হবে। তবে এই উৎসাহটাও দিতে হবে মাত্রা মেপে। একই কাজের জন্যে বারবার পুরষ্কৃত করলে তার কর্মবৈচিত্র কমে যাবে। বিচিত্র এবং বিভিন্নরকম কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করুন। সে কোন অপরাধ করলে রেগে না গিয়ে তাকে বোঝান।
৩। বয়স বুঝে সমালোচনা
ভালো কাজের জন্য অতি প্রশংসা করা যেমন ভালো না, তেমনি শিশু কোনো ভুল করে ফেললে অতিরিক্ত সমালোচনা করাও উচিত না। এতে শিশুর মন ভেঙে যাবে, আত্মবিশ্বাস কমে যাবে। সন্তানের ধারণ ক্ষমতা ও বয়সের চাহিদা বুঝে সমালোচনা করা উচিত।
৪। শাস্তির ভয় না দেখানো
“পরীক্ষায় ভালো না করলে তোমাকে গ্রামে রেখে আসবো” অথবা “ঠিকমত পড়াশোনা না করলে তুমি বড় হলে রিকশা চালাবে” এই জাতীয় হুমকি দেখানো থেকে বিরত থাকুন। এতে শিশুমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এতে তার নিজের কাজ সম্পর্কে ভীতি তৈরি হবে। সে কাজকে ভালোবাসতে পারবে না।
৫। প্রতিযোগিতা চাপিয়ে দেবেন না
বর্তমান সময়টাই প্রতিযোগিতার। ঘাটে, মাঠে, অফিসে, আদালতে, সবখানেই প্রতিযোগিতা। এমন কী শিশুরাও এর থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ভালো স্কুলে ভর্তি হতে হবে, ভালো রেজাল্ট করতে হবে, এমন নানারকম বাধ্যবাধকতা । এসব শিশুমনে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলাফল কখনই ভালো না।
৬। অতি নজরদারি না করা
শিশুকে অবশ্যই নজরদারিতে রাখা উচিত। কিন্তু সেটা হবে এমন, যেন সে বুঝতে না পারে। শিশু যদি মনে করে যে, সবসময় তাকে অনুসরণ করা হচ্ছে, তাহলে তার উপর মানসিক চাপের সৃষ্টি হবে, যা তার স্বাভাবিক সৃজনশীলতা ব্যাহত হতে পারে।
৭। প্রযুক্তি নির্ভরতা কমান
প্রযুক্তির প্রতি অতি নির্ভরতা শিশুর বিকাশে ক্ষেত্রে বাধা। এর ফলে২+২=? অংক করতেও তার ক্যালকুলেটর লাগে। নিজের ক্ষমতা এবং দক্ষতার প্রতি সংশয় জন্ম নেয়, এবং তার চিন্তা ভাবনায় কোন স্বকীয়তা থাকে না। সে হয়ে ওঠে যন্ত্রনির্ভর।
শিশুদের সৃজনিশক্তি বিকশিত করতে অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আপনার শিশুর জন্যে বিজ্ঞানবাক্স হতে পারে সেরা উপহার।
OnnoRokom BigganBaksho : অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স