ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) এক ম্যাচ পরই জ্বলে উঠলেন সাকিব আল হাসান। জ্যামাইকা তালাওয়াসের প্রথম ম্যাচে হার এড়াতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি সাকিব। তবে বার্বাডোস ট্রাইডেন্টসের বিপক্ষে এবার দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে জেতাতে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও উইকেট নিয়েছেন সাকিব।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে গতকাল রাতে মুখোমুখি হয় জ্যামাইকা ও ট্রাইডেন্টস। ওই ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় জ্যামাইকা। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান করে সাকিব-সাঙ্গাকারা-সিমন্সদের জ্যামাইকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪২ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় ট্রাইডেন্টস। ফলে ১২ রানে জয় পায় সাকিবের জ্যামাইকা।
জ্যামাইকার হয়ে ব্যাট করতে নেমে দলের ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটা সাকিবের কাছ থেকেই আসে। শেষ পর্যন্ত ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন বাংলাদেশি এ অলরাউন্ডার। ৩২ বল মোকাবেলায় ৫ চার ১ ছক্কায় এ ইনিংস সাজান সাকিব। জ্যামাইকার হয়ে ব্যক্তিগত ৬০ রানের সর্বোচ্চ ইনিংসটা খেলেন ম্যাককার্থি। তার সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ ৮৪ জুটি গড়েন সাকিব।
জয়ের জন্য ১৫৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ছন্দহীন ছিল ট্রাইডেন্টস। দলীয় ৫১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ১০২রানে পৌঁছতেই মোট ৬ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। কাইরন পোলার্ড ৬২ রানের ইনিংস খেললেও জয়ের বন্দরে নোঙর করতে পারেনি দলটি। ১৪২ রানে অলআউট হয়ে যায় ট্রাইডেন্টস।
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও আলো ছড়িয়েছেন সাকিব। বল হাতে ওয়াইন পার্নেলের উইকেটটি পেয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে একটি করে উইকেট পাওয়া অন্য বোলাররা হলেন সান্তকি, কেসরিক উইলিয়ামস এবং ইমাদ ওয়াসিম। তবে মোহাম্মদ সামি একাই ৪ উইকেট নিয়ে ট্রাইডেন্টসের ব্যাটিংয়ে বড় বিপর্যয় আনেন।