খেয়াল করে দেখেছি অনেক সময়ই কিছু গান শুনলে পুরান কোন সময় ও স্মৃতি খুব স্পষ্ট হয়ে উঠে।
আজকে থেকে ২৬ বছর আগে আমরা কলেজ থেকে ৬ দিনের এস্কারসনে গিয়েছিলাম। আমাদের কলেজ বাসে আমাদের সাথে ছিল একটি ক্যাসেট প্লেয়ার। আর ক্যাসেট বলতে স্করপিওন্সের কিছু এ্যালবাম ও গান। নো ওয়ান লাইক ইউ। রিদম অফ লাভ। স্টিল লাভিং ইউ। ইন ট্রেন্স। যেখানে পৌছাতাম আমাদের আগমন আমরা জানান দিতাম স্করপিওন্সের এর কোন গান জোরে বাজিয়ে।
খেয়াল করে দেখেছি অনেক সময়ই কিছু গান শুনলে সেই সময়কার স্মৃতি মনে খুব স্পষ্ট ভাবে জেগে উঠে। স্টিল লাভিং ইউ শুনে ভেসে উঠে খুলনা নেভি বেসের সেই সব স্পষ্ট স্মৃতি। কিংবা নো ওয়ান লাইক ইউ শুনলে মনে পড়ে ঝিনাইদহে পৌঁছানোর স্মৃতি গুলো। খুব স্পষ্ট ভাবেই মনে পড়ে। যদিও অনেক বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু হঠাৎ করে কিছু গান ফিরিয়ে নিয়ে যায় অনেক আগের সময়ে।
অনেক সময় পার হয়ে গেছে কিন্তু অবচেতন মনে খুব স্পষ্ট ভাবে দাগ কেটে গেছে গানগুলির সুর।
পুরান দিনের অনেক মানুষ পুরান দিনের হিন্দি গান শুনেন। এখন বুঝতেছি তার কারণ। ওইসব গানের থেকে অনেক উন্নত মানের গান সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তারা ওই সময় ফিরে যেতে পারে তাদের সেই পুরান সময়ে গান গুলোর মাধ্যমে।
ভেবে দেখলাম আমাদের জীবনে শব্দ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ক্রমাগত আওয়াজ আমাদের ক্লান্ত করে ফেলে। আপনি এ সি যানবাহনে জার্নি করে দেখেন - অনেক কম ক্লান্ত হবেন। কেননা সেখানে বাইরের শব্দ অনেক কম প্রবেশ করে।
আবার মেডিটেশনের মোহময় সুর আমাদের ক্লান্ত অবস্থা থেকে চাঙ্গা করে তুলে।
রাস্তার পাশে ক্রমাগত গাড়ির শব্দ আমাদের ক্লান্ত করে ফেলে।
কোলাহল, নয়েস, মেলোডি, মিউজিক, সবই আমাদের মনে স্থায়ী ভাবে দাগ কাটে।
আমরা বুঝতেও পারি না কখন বিজাতীয় ভাষা ও বিজাতীয় গান আমাদের উপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে। আমাদের মনে স্পর্শ কাতর জায়গা তৈরি হয়।
আমার মনে হয় আমাদের শিশুরা যাতে বিজাতীয় ভাষা দ্বারা প্রভাবিত না হয় সেই দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিৎ।
(আমার ফেসবুক পোস্ট থেকে)