অর্থনীতিমানবসম্পদ
অর্থনীতি সংবাদ
চার বছরে কর্মজীবীর প্রকৃত আয় আড়াই শতাংশ কমেছে: সিপিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
০৯ মে ২০১৮, ১৬:০০
আপডেট: ০৯ মে ২০১৮, ১৬:৫৩
১
সিপিডি
সিপিডি
চার বছরের ব্যবধানে দেশের কর্মজীবী মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। ২০১৩ সালে একজন কর্মজীবী প্রতি মাসে গড়ে ১৪ হাজার ১৫২ টাকা মজুরি পেতেন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এসে তা কমে ১৩ হাজার ২৫৮ টাকা হয়েছে। প্রকৃত আয় কমেছে আড়াই শতাংশের মতো।
অন্যদিকে পুরুষদের চেয়ে নারী কর্মজীবীদের প্রকৃত আয় বেশি কমেছে। ২০১৩ সালে একজন কর্মজীবী নারী প্রতি মাসে গড়ে ১৩ হাজার ৭১২ টাকা মজুরি পেতেন। এখন পান ১২ হাজার ২৫৪ টাকা। মজুরি কমেছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে, পুরুষেরা চার বছর আগে পেতেন ১৪ হাজার ৩০৯ টাকা। এখন ১ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ১৩ হাজার ৫৮৩ টাকা মজুরি পান।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে। আজ বুধবার গুলশানের এক হোটেলে এই গবেষণা প্রকাশ করা হয়। গবেষণা উপস্থাপন করেন সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে ওই গবেষণাপত্রের ওপর সংলাপ অনুষ্ঠান হয়।
সিপিডির গবেষণায় আরও বলা হয়, কর্মক্ষম বয়সের নারীদের মধ্যে প্রায় ৫৭ শতাংশ কোনো মজুরির বিনিময়ে কাজে সম্পৃক্ত নয়, আবার পড়াশোনা কিংবা প্রশিক্ষণও নিচ্ছেন না তাঁরা। এর ফলে শ্রমবাজারে বিপুলসংখ্যক নারী অংশগ্রহণ নেই। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে নারীদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রয়োজন। সিপিডি আরও বলেছে, গত চার বছরে শিল্প খাতে সাড়ে আট লাখ নারীর কর্মসংস্থান কমেছে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আগামী চার দশক জনমিতির লভ্যতার দ্বারপ্রান্তে আছে বাংলাদেশ। শ্রমবাজারে অনেক তরুণ-তরুণী আসবে। আমরা তাদের কীভাবে কাজে লাগাব-তা ভাবতে হবে। নারীদের শোভন কাজের বিষয়টি ভাবতে হবে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) শামসুল আলম বলেন, অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান কীভাবে কমিয়ে আনুষ্ঠানিক আনা যায়, সেই বিষয়ে পরিকল্পনা নিতে হবে। আবার গৃহস্থালির কাজ করেন, কিন্তু মজুরি পান—এমন নারীদের কাজের মূল্য কীভাবে বের করা যায়, তা গবেষণা করে বের করা উচিত। তাহলে তাদের অবদান জাতীয় আয়ে যুক্ত করা যাবে।
সংলাপ অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, অর্থনীতিবিদ, নারী নেত্রীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা অংশ নেন।
http://www.prothomalo.com/economy/article/1485346/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B6-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87