ছেলেবেলা থেকে বাবা-মা এটাই শিখিয়ে এসেছেন ‘আর্লি টু বেড অ্যান্ড আর্লি টু রাইজ’। আজও তারা বলে থাকেন, সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়তে। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিশেষজ্ঞ একটি সমীক্ষা করেন। সেই সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী সকালে ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, তারা পড়াশোনায় অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি ভালো হয় এবং তাদের পরীক্ষার ফলাফলও ভালো হয়।
ভোরে ঘুম থেকে ওঠার সবচেয়ে ভালো উপকারিতা হল, চিন্তামুক্তি। যখন আমরা ভোরে ঘুম থেকে উঠি, তখন সূর্যের নরম আলোয় আমাদের মাথা থেকে সব চিন্তা দূর হয়ে যায়। একটা পজেটিভ এনার্জি মনে কাজ করে। ফলে সারাদিনের সমস্ত কাজকর্ম সফল হয়।
ভোরে তখনই ওঠা যায়, যদি তাড়াতাড়ি ঘুমাতেও যাওয়া যায়। একদিন তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া আর একদিন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলে চলবে না। এই নিয়ম নিয়মিত বজায় রাখতে হবে। তবেই আপনার ঘুম ভালো হবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে।
ভোরে ঘুম থেকে উঠলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেশিরভাগ সময়টা কাজে লাগাতে পারা যায়। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে সমস্ত মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন, তারা অনেক বেশি এনার্জিটিক হন। যে কোন কাজ করতে খুব কম সময় নেন তারা। শুধু তাই নয়, কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে, পরিকল্পনা করতে এবং লক্ষ্যে পৌঁছতে তারাই সেরা হন।
সূত্র: সময়ের কণ্ঠস্বর