বিশ্বে বসবাস অনুপযোগী শহরের তালিকায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার দামেস্ক পর ঢাকার অবস্থান। আর বাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা।
বসবাসযোগ্য শহরের তালিকার একেবারে তলানিতে আছে সিরিয়ার রাজধানি দামেস্ক; তলানির দ্বিতীয় শহরটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ও এর উপরে আছে নাইজেরিয়ার রাজধানী লাগোস।
বিভিন্ন দেশের ১৪০টি শহরের ওপর জরিপ চালিয়ে লন্ডনভিত্তিক ইকোনমিস্ট গ্রুপের ইকোনমিস্ট ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) এ ‘গ্লোবাল লিভেবলিটি ইনডেক্স’ বার্ষিক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইকোনমিস্ট ইন্টিলিজেন্সের জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বাসযোগ্য শহরের তালিকায় প্রথম হয়েছে ইউরোপের শহর ভিয়েনা। গত সাত বছর এ মর্যাদা ছিল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। মেলবোর্ন শহর এখন দ্বিতীয় স্থানে।
এ তালিকায় গতবার চতুর্থ স্থানে থাকলেও বসবাসের মান আরও কমে যাওয়ায় এবার দ্বিতীয় স্থানে দেখা যাচ্ছে ঢাকাকে।
বসবাসযোগ্যতায় নিচের দিকে থাকা দশটি শহর নির্বাচনের ক্ষেত্রে অপরাধ, নাগরিক অস্থিরতা, সন্ত্রাসবাদ ও যুদ্ধ ‘জোরালো ভূমিকা’ পালন করেছে বলে জানিয়েছে ইকোনমিস্ট ইন্টিলিজেন্স।
বসবাসযোগ্য শীর্ষ ১০ শহর
১. ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া; ২. মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া; ৩. ওসাকা, জাপান; ৪. ক্যালগেরি, কানাডা; ৫. সিডনি, অস্ট্রেলিয়া; ৬. ভ্যাঙ্কুবার, কানাডা; ৭. টোকিও, জাপান; ৮. টরন্টো, কানাডা; ৯. কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক ও ১০, অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া।
বসবাসযোগ্য সর্বনিম্ন ১০টি শহর
১. দামেস্ক, সিরিয়া; ২. ঢাকা, বাংলাদেশ; ৩. লগোস, নাইজেরিয়া; ৪. করাচি, পাকিস্তান; ৫. পোর্ট মরেসবি, পাপুয়া নিউ গিনি; ৬. হারারে, জিম্বাবুয়ে; ৭. ত্রিপোলি, লিবিয়া: ৮, দুয়ালা, ক্যামেরুন; ৯. আলজিয়ার্স, আলজেরিয়া ও ১০. ডাকার, সেনেগাল।