অনলাইন ডেস্ক
২৭ আগস্ট ২০১৮, ১০:১৬
আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০১৮, ১০:২১
টিলার ওপর তৈরি খেতে ধরেছে নজরকাড়া ড্রাগন ফল। পাঁচমাইল, খাগড়াছড়ি। ছবি: নীরব চৌধুরীমে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ড্রাগনগাছে ফল হয়। পাঁচমাইল, খাগড়াছড়ি। ছবি: নীরব চৌধুরীড্রাগন ফল সংগ্রহ করছেন চাষি সমর সিংহ রোয়াজা। পাঁচমাইল, খাগড়াছড়ি। ছবি: নীরব চৌধুরীখেতে সারি সারি ড্রাগন ফলের গাছ। পাঁচমাইল, খাগড়াছড়ি। ছবি: নীরব চৌধুরীড্রাগন ফল সংগ্রহের পর তা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। পাঁচমাইল, খাগড়াছড়ি। ছবি: নীরব চৌধুরীগাছ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে ড্রাগন ফল। পাঁচমাইল, খাগড়াছড়ি। ছবি: নীরব চৌধুরীআরও ছবি রূপকথা বা কল্পকাহিনির ড্রাগন নয়, এটা জলজ্যান্ত ফল। হ্যাঁ, ড্রাগন ফলের কথাই বলা হচ্ছে। এটি সুস্বাদু ও লোভনীয় ফল। এটি ভিনদেশি ফল হলেও এখন এ দেশেই মিলছে প্রচুর। জুলাই মাসের শেষ দিকে এটি বাজারে আসতে শুরু করে। এখনো বাজারে পাবেন ড্রাগন ফল। বিদেশি ফল হলেও সুমিষ্ট স্বাদ ও পুষ্টিগুণের জন্য বাংলাদেশেও এখন এই ফলের চাষ হচ্ছে।
ড্রাগন ফল রেড পিটায়া, স্ট্রবেরি পিয়ার, কনডেরেলা প্ল্যান্ট ইত্যাদি নামেও পরিচিত। ড্রাগন ফলের গাছ লতানো, মাংসল, খাঁজকাটা। লোহা, কাঠ বা সিমেন্টের খুঁটি বেয়ে দিব্যি বেড়ে উঠতে পারে। পাকা ফল না ধুয়ে পাঁচ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে ভালো রাখা যায়। সচরাচর অন্তত চার রকমের ফল দেখা যায়—লাল বাকল, লাল শাঁস; হলুদ বাকল, সাদা শাঁস; লাল বাকল, সাদা শাঁস; লাল বাকল ও নীলচে লাল শাঁস। রঙের ভিন্নতা অনুযায়ী স্বাদের ক্ষেত্রেও তারতম্য লক্ষ করা যায়। শাঁসের ভেতর ছোট ছোট অজস্র কালো বীজ থাকে।
ড্রাগন ফলের গাছ চিরসবুজ ক্যাকটাস। ফুল লম্বাটে সাদা এবং অনেকটা নাইট কুইনের মতো দেখতে। ড্রাগন ফলের অনেক ভেষজ ও ঔষধি গুণ আছে। জেনে নিন কয়েকটি গুণের কথা:Eprothomalo
কোলস্টেরল কমায়
এ ফল কোলস্টেরল কমিয়ে হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য এটি ভালো উপায়। এর বীজে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা সুস্থ থাকতে কাজে লাগে। ফলের খোসা খুব পাতলা। ফলে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’, খনিজ লবণ ও আঁশ থাকে। বহুমূত্র, রক্তচাপ ও শরীরের স্থূলতা কমায়। লাল রঙের ফল থেকে চমৎকার প্রাকৃতিক রং পাওয়া যায়। এই রং শরবত তৈরিতেও ব্যবহার্য। শুকনো ফলও ভক্ষ্য এবং তা কাঁচা ফলের মতোই উপকারী।
ফাইবার বেশি
ড্রাগন ফলে প্রচুর ফাইবার বা তন্তু থাকে। যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি খেলে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা করোনারি হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমে। ড্রাগন ফল ডায়েটারি ফাইবারের ভালো উৎস। এটি রক্তচাপ কমাতে ও ওজন কমাতে কার্যকর। ড্রাগন ফলের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
ড্রাগন ফলে প্রচুর ফাইটোনিয়ট্রিয়েন্ট থাকে, যা শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জোগাতে পারে। শরীরে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলসের বিরুদ্ধে লড়তে এটি দারুণ কার্যকর। তাই ক্যানসার বা ত্বকের ক্ষতি ঠেকাতে ড্রাগন ফল খেতে পারেন।
পটাশিয়ামের উৎস
ড্রাগন ফলে প্রচুর প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান থাকে। বিশেষ করে হাড়ের জন্য দরকারি পটাশিয়াম আর ক্যালসিয়ামের দারুণ উৎস এটি। শরীরের স্নায়ুতন্ত্র ঠিক রাখতেও এর ভূমিকা রয়েছে। জাপানের সিগা ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সায়েন্সেসের গবেষণা অনুযায়ী, ডায়াবেটিস রোগীদের পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার হার্ট ও কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ভিটামিন সি
ড্রাগন ফল ভিটামিন সির দারুণ উৎস। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ড্রাগন ফল আয়রনের ভালো উৎস। এটি দাঁত মজবুত করে এবং ত্বক সতেজ রাখে। প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ লবণযুক্ত এই ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এ ছাড়া অ্যাজমা-ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধ করে, মানসিক অবসাদ দূর করে এবং ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
Published on 27th August 2018 in daily the Prothom Alo