মনে পড়ে ১৯৯১ সালে শিক্ষা সফরে যাওয়ার সময় হার্ডিঞ্জ ব্রীজের পাশে ছবি তুলেছিলাম। সেই ছবিটা এখনও আমার কাছে আছে।
এইবছর ২০১৮ সালে অর্থাৎ ২৭ বছর পর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ আবার পার হলাম। ব্রিজটি ঠিক একই রকম আছে। এই ব্রিজটার মেইন্টেনেন্স বলতে এইটাকে নিয়মিত রঙ করতে হয়। কেননা এই ব্রিজটা লোহার তৈরি। না হলে ব্রিজে জং পড়ে যাবে। গুগুলে দেখতেছি ১৯১৫ সালে এই ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলা শুরু হয়। তার মানে ১০৩ বছরের বেশী এই ব্রিজের বয়স। ব্রিটিশ শাসন আমলে তৈরি হয়েছে এই ব্রিজ। তার পরও কত মজবুত আছে।
ভাবতেছিলাম ব্রিটিশরা কি কি উন্নয়ন করেছিল?
আমাদের দেশের সিংহ ভাগ রেল লাইন তাদের তৈরি করা। ব্রিজ কাল্ভারট রাস্তা ঘাটও অনেক তৈরি করেছে তারা। অনেক স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিও তারা প্রতিষ্ঠা করেছে।
এই অঞ্চলের এতো উন্নয়ন করার পরও তাদের বিদায় নিতে হয়েছে।
বিদায় নিতে হয়েছে কেননা মানুষ শুধু কাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে থাকেনা। তারা চায় কথা বলতে আরও চায় তার সব অধিকার সুরক্ষিত আছে কিনা তার নিশ্চয়তা। মানুষ তার মনের আবেগগত বিষয় গুলোর সুরক্ষা না পেলে বিদ্রোহী হয়ে উঠে।
তাই ব্রিটিশদের বিদায় নিতে হয়েছে। ব্রিটিশদের বিদায় হতে পারে সকল দল মতের জন্য একটি মৌলিক শিক্ষা।
(যত রাস্তাঘাট ও ব্রিজ তৈরি করুক না কেন - আমাদের দেশে ব্রিটিশ সময়ের ইতিহাস মানে বঞ্চনা ও শোষণের ইতিহাস। ব্রিটিশরা আমাদের দেশের মানুষদেরকে শোষণ করে নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়েছিল। এক সময় গর্ব করে বলা হত - ব্রিটিশ সম্রাজ্য থেকে কখনো সূর্য অস্ত যায় না। এইটা ছিল তাদের জন্য গর্বের বিষয়। তাদের বর্তমান জেনারেশনের কাছে তাদের পূর্ব পুরুষদের নিষ্ঠুর শোষণ ও নির্যাতনের কাহিনী এখন লজ্জার কারণ।)