ন টি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ও উপকারী পানীয়; এর মধ্যে রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। আর এ কারণেই এই চা এত জনপ্রিয়।গ্রিন টি পান মস্তিষ্কের কার্যক্রম ভালো করে, শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমায়, ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এর রয়েছে আরো অনেক গুণ। তবে এসব উপকার পেতে অবশ্যই আপনাকে প্রতিদিন অন্তত এক কাপ গ্রিন টি পান করতে হবে।প্রতিদিন গ্রিন টি পানের কিছু উপকারিতার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট কিং ডেমিক।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: গ্রিন টি পান টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় বলা হয়, প্রতিদিন গ্রিন টি পান ৪২ ভাগ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
অকালবার্ধক্য প্রতিরোধ: নিয়মিত গ্রিন টি পান শরীরের ফ্রি রেডিকেল কমিয়ে অকালবার্ধক্য প্রতিরোধে কাজ করে এবং বলিরেখা কমায়।
মানসিক চাপ কমায়: গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে থায়ানিন। এই উপাদান শরীর ও মনকে শিথিল করে এবং মানসিক চাপ কমাতে কাজ করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: প্রতিদিন গ্রিন টি পান শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া এর মধ্যে থাকা পলিফেনল হৃৎপিণ্ডকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি গ্রিন টি স্ট্রোকেরও ঝুঁকি কমাতে উপকারী।
ঠান্ডা-কাশি: সাধারণত ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধেও গ্রিন টি উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ঠাণ্ডা লাগার লক্ষণ এবং নিরাময়ের উপায়
প্রকৃতির বাতাসে ঠাণ্ডার পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ঠাণ্ডাজ্বর, সর্দি ও কাশির মতো ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা। নিয়মিত ওষুধ খেলেও এই ঠাণ্ডা নিরাময় হতে বেশ সময় লাগে। অনেক সময় নিরাময় হওয়ার কিছুদিন পরে দেখা যায় আবার ঠাণ্ডাজ্বর বা সর্দি হয়েছে। এমন সমস্যার বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেগুলো দেখে আপনি বুঝবেন যে আপনার ঠাণ্ডা পুনরায় লাগতে শুরু করেছে। তবে তার নিরাময়ও আছে আপনার হাতের কাছেই
ক্লান্তি এবং ঘুম: আমরা সাধারণত শরীরের ছোটখাট সমস্যাগুলোকে খুব একটা গুরুত্ব দেই না। এটা আমাদের প্রথম ভুল। আমাদের সবার উচিত শরীরের ছোট বা বড় সব ধরনের সমস্যাগুলোকে সমানভাবে গুরুত্ব দেয়া। যেমন ঠাণ্ডা লাগলে শরীর অতিরিক্ত পরিমাণ ক্লান্তিভাব অনুভব করে এবং তা অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে হতে পারে। কার্নেগি মেলনের পরিচালিত একটি গবেষণা থেকে বলা হয়, একজন মানুষ প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমালে তা তার জন্য ঠিক আছে তবে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিলে ঘুমের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। তবে আপনি কত সময় ধরে ঘুমাচ্ছেন তার থেকে বড় ব্যাপার হলো আপনার ঘুম পরিপূর্ণ বা সাউন্ড স্লিপ হচ্ছে কি-না সেটা।
গুমোট নাক খুলতে তরল পান: নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিন অব ডুরহামের ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডাক্তার লাউসার বলেন, ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা মূলত শ্বাসযন্ত্রের একটি সমস্যা যা শুরু হয় নাক থেকে। ঠাণ্ডার ভাইরাসগুলো অনুষাঙ্গিক এলাকাতে আক্রমণ করে এবং শরীর এই ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকে তা বের করে দেয়ার জন্য। যার ফলে নাকে এক ধরনের শ্লেষ্মা তৈরি হয়। ডাক্তার লাউসার আরও বলেন, আপনি আপনার শরীরকে প্রচুর পানি পান করে সাহায্য করতে পারেন। এতে শরীর ভাইরাস রোধ করতে সক্ষম হবে।
মানসিক চাপ কমান: সারাদিনের কাজের চাপ আপনাকে দিনের শেষে খুবই ক্লান্ত করে দিতে পারে, যা আপনার অসুস্থতার কারণ হয়ে উঠতে পারে। ডাক্তাররা এখন মানসিক চাপের সঙ্গে অসুস্থতার সংযোগ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। তবে এটি পরিষ্কারভাবে বলা হয় যে, অনেক দিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে থাকাটা শারীরিক কার্যক্রমের জন্য ভালো নয়। নিউ ইংল্যান্ড অব মেডিসিনের এক যুগান্তকারী গবেষণাতে বলা হয়, যেসব মানুষ বেশি চাপের মধ্যে থাকে তারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত চাপে থাকলে শরীর তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাতে শুরু করে এবং আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ঠাণ্ডায় লবণ পানির ব্যবহার: এটা বলা হয়ে থাকে যে, অসুস্থতায় লবণ ব্যবহার করলে তা আরও খারাপ পর্যায়ে চলে যায় কিন্তু না, লবণ ইনফেকশন হওয়া রোধ করে। ডাক্তার লাউসার বলেন, ঠাণ্ডা লাগলে সাধারণত গলাব্যথা হয়, কথা বলতে বা খেতে বেশ অসুবিধা হয়। সেক্ষেত্রে লবণ পানি ব্যবহারের তুলনা হয় না। এটি গুমোট বাধা গলা, নাক পরিষ্কার করতে বেশ কাজ করে। জাপানের একটি গবেষণা থেকে দেখানো হয় যে, ঠাণ্ডা লাগলে নিয়মিত লবণ পানির কুলকচা করলে ঠাণ্ডা তাড়াতাড়ি নিরাময় হয়।
গরম পানি দিয়ে গোসল: ডাক্তার লাউসারের মতে, ঠাণ্ডার পুরো সময়টা হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করা ভালো। এতে করে ঠাণ্ডার প্রকোপটা শরীরে কম ভর করতে পারে। এছাড়া হালকা গরম পানি পান করাও ভালো। কারণ ঠাণ্ডা পানি পান, ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল এবং ঠাণ্ডা স্থানে থাকাটা আপনার ঠাণ্ডাজনিত সমস্যার জন্য ভালো নয়।
দুর্বলতা কাটিয়ে উঠুন সহজ কিছু উপায়ে
দুর্বল ও ক্লান্ত অনুভব করা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। তখন চোখগুলো এমন ভারি হয়ে আসে যে সাধারণ কাজটাও করা যায় না। যদি প্রতিদিনই এই সমস্যা হয় তাহলে কী হবে। আপনার উত্পাদনশীলতা কমে যাবে এবং আপনার পারফরমেন্সের ওপর প্রভাব পড়বে। এছাড়াও এটি কিছু অন্তর্নিহিত রোগকেও নির্দেশ করে। কিন্তু অনেক রোগীদের ক্ষেত্রেই রক্ত পরীক্ষায় তেমন কিছু ধরা পড়ে না বলে ডাক্তার বলেন যে, দুর্বলতার কারণে এমন হচ্ছে। তাহলে তখন কি গ্লুকোজ বা এনার্জি পিল বা এনার্জি ড্রিংক পান করা উচিত। গ্লুকোজ আসলে সব সময় ভালো সমাধান নয়। দুর্বলতা কাটিয়ে এনার্জি লাভ করার অনেক উপায় আছে যা খুব কঠিন কিছু নয়। চলুন তাহলে জেনে নিই দুর্বলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সহজ কিছু উপায়
আপনি কি খাচ্ছেন তা খেয়াল করুন: সপ্তাহে এক বারের বেশি পিজা বা বার্গার অর্ডার দেয়ার পূর্বে দ্বিতীয়বার ভাবুন। এর চেয়ে মায়ের হাতের চাপাতি/রুটি এর সঙ্গে সবজি ও সালাদ দিয়ে খেয়ে নিন, যা পনির ও মেয়নেজ এ পরিপূর্ণ পিজা ও বার্গারের চেয়ে অনেক বেশি এনার্জি দিতে পারবে। সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং ফিট থাকুন।
শরীর নাড়াচাড়া করুন: যে কোনো ধরনের শারীরিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হোন। ফিট থাকার জন্য জিমে যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। জিমে যাওয়া ছাড়াও আরও অনেক ব্যায়াম আছে যেমন- সাঁতার, হাঁটা, ব্যাডমিন্টন খেলা, নাচা, ইয়োগা ইত্যাদি যা আপনাকে ফিট থাকতে সাহায্য করবে। আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিন এবং প্রতিদিন ৩০ মিনিট সেই কাজে মনোযোগ দিন।
মস্তিষ্ককে শিথিল হতে দিন: যদি আপনার কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা না থাকে তাহলে আপনার দুর্বলতার কারণ আপনার মন। আপনার মন ও মস্তিষ্কের শিথিল হওয়া প্রয়োজন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আপনার কাজ শেষ করার চেষ্টা করুন। বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলায় অংশ নিন, সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করুন, পরিবারের সঙ্গে সময় ব্যয় করার চেষ্টা করুন এবং সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। এই ছোট ছোট কাজগুলোই আপনাকে সতেজ থাকতে এবং মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
শখের কাজ করুন: আপনি সত্যিই পছন্দ করেন এমন কোনো কাজ করুন। এটা হতে পারে গিটার বাজানো, পিয়ানো শেখা, বই পড়া, ছবি আঁকা, গান শুনা ইত্যাদি। আপনি করতে ভালোবাসেন এমন কোনো কাজ করলেই আপনি এনার্জি পাবেন।
ফল খান: বেশিরভাগ এনার্জি ড্রিঙ্কই চিনিতে পরিপূর্ণ থাকে যা শরীরের জন্য ভালো নয়। নিয়মিত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে কিডনি ও লিভারের উপর অধিক চাপ পড়ে। তাই ফল খাওয়াই হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ, এর পাশাপাশি প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, পানি, সবুজ শাকসবজি ও সালাদ খাওয়া উচিত।
গরমে পানিশূন্যতা রোধের উপায়
বৈশাখের আগমন জানিয়ে দিচ্ছে সূর্য প্রচণ্ড তাপ বিকিরণ করছে অকৃপণ ভাবেই। তাই বলে সকল কাজ বন্ধ থাকবে। না তা নিশ্চয়ই নয়! বৈশাখ বা জৈষ্ঠের গরমেও আপনাকে ভালো রাখতে কিছু উপায় তো অবশ্যই রয়েছে। তবে সারাদিন কাজের পরেও যেন সুস্থ থাকতে পারেন সে দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। গরমে বাহিরে কাজ করার ফলে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা হয়ে যেতে পারে আপনার। আর যারা অনেক বেশি ঘামেন তাদেরতো ডিহাইড্রেশন হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। ডিহাইড্রেশন তখনই হয় যখন আমাদের শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ ও খনিজ উপাদান সহ অনেক বেশি তরল বের হয়ে যায়। তাই একে খুব হালকাভাবে নিবেন না, কারণ এর ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। তবে গরমের ডিহাইড্রেশন কিছুটা ভিন্ন। বাহিরের তাপ বৃদ্ধির ফলে অনেক ঘাম হয় বলে শরীর এই তরলের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পারেনা বলে ডিহাইড্রেশন হয়। ডিহাইড্রেশনকে প্রতিহত করার কিছু টিপস জেনে নিই চলুন –
পর্যাপ্ত পানি পান করুন: অনেকেই কম পানি পান করে থাকেন। কিন্তু গরমে যেহেতু ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে তরল বের হয়ে যায় বেশি তাই আপনাকে পানি পান করতে হবে বেশি। ডিহাইড্রেশন থেকে দূরে থাকার প্রথম পদক্ষেপই হচ্ছে পর্যাপ্ত পানি পান করা। প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দেন কিছু বিশেষজ্ঞ। কিন্তু মনে রাখবেন তরলের প্রয়োজনীয়তা ব্যক্তি বিশেষ ভিন্ন হতে পারে বিভিন্ন কারণে যেমন- ব্যক্তির উচ্চতা, ওজন, শারীরিক সক্রিয়তা এবং তিনি কোথায় অবস্থান করছেন তার উপর নির্ভর করে।
ডাইইউরেটিক এড়িয়ে চলুন: ডাইইউরেটিক হচ্ছে কোন বস্তু বা খাবার যা মূত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এর ফলে শরীর থেকে অনেক তরল বের হয়ে যায়। জনপ্রিয় ডাইইউরেটিক বা মূত্রবর্ধক হচ্ছে ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় যেমন- চা, কফি, কোলা এবং চকোলেট ইত্যাদি।
মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন: এসিডিটি এবং বুক জ্বালাপোড়া করার সমস্যা সৃষ্টি করা ছাড়াও মসলাযুক্ত খাবার শরীর থেকে তরল বের হয়ে যাওয়া বৃদ্ধি করে দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে। কিন্তু ঘাম প্রতিরোধের জন্য গরমের সময় মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিতর্কের যোগ্য। কারণ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া ভালো। তাদের মতে মসলা যুক্ত খাবার খেলে শরীরের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক তাপমাত্রার মধ্যকার বৈসাদৃশ্য কমে এবং পরবর্তীতে একটি শীতল অনুভূতি পাওয়া যায়।
ইয়োগা করুন: ইয়োগা শরীরকে শিথিল হতে ও নার্ভকে শান্ত হতে সাহায্য করে। বাহিরের অত্যধিক তাপের ফলে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সকেত দেয় যে স্নায়ু তাকে শান্ত রাখতে করতে পারেন ইয়োগা।
পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান: ডিহাইড্রেশন শুধু পানির ঘাটতিকেই বুঝায় না। পানির সাথে সাথে প্রচুর ইলেক্ট্রোলাইটও কমে যায়। এ জন্য আপনার পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন- কলা, আনারস, মিষ্টি আলু, ডাবের পানি এবং আম খাওয়া প্রয়োজন।
অত্যধিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন: ফিট থাকার জন্য শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা বা ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু গরমের সময় অনেক বেশি পরিশ্রমের ব্যায়াম করার ফল মারাত্মক হতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনি পানির ঘাটতি পূরণের জন্য একটু পরপর পানি পান না করেন তাহলে।
হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন: গাড় রঙের ভেতরে তাপ বেশি শোষিত হয় বলে গরম বেশি লাগে এবং ঘাম বেশি হয়। টাইট ফিটিং পোশাক পড়লে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই বাহিরে যাওয়ার সময় হালকা রঙের ও ঢিলেঢালা পোশাক, বিশেষ করে সুতির পোশাক নির্বাচন করুন।
ঘরের ভেতরে থাকুন: সরাসরি সূর্যের তাপে গেলে অনেকবেশি ঘাম হয় বলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। বৈশাখের প্রথম প্রহরে তো অনেকেই বাহির হয়েছেন। আর যারা এখনো যাননি তারা দুপুরের পরে বের হলেই ভালো।
ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করুন: ধূমপান করলে গলার ভেতরের কোষগুলোকে পানিশূন্য করে দেয়। এছাড়া এটি তৃষ্ণার উপর ও প্রভাব ফেলে বলে আপনি পানি পান করার আকুতি অনুভব করেন না। অন্যদিকে অ্যালকোহল ডাইইউরেটিক। এটি গলা এবং পাকস্থলির প্রাচীরকে ডিহাইড্রেট করে। এটি যকৃত কোষের উপর ও প্রভাব ফেলে বলে তীব্র ডিহাইড্রেশন হতে পারে।