#ফজরের_নামাজ_পড়ার_১০টি_ফজিলত....
হাদিসের আলোকে আমরা ফজরের নামাজের কয়েকটি ফজিলত লক্ষ করা যায়। চলুন জেনে নেই,
১, ফজরের নামাজ মুনাফিকদের জন্য কঠিন হয় ও ঈমানদারদের জন্য সহজ হয়। তাই ফজরের নামাজে উপস্থিত হওয়াটা ঈমানদারের লক্ষণ।
২, ফজরের নামাজ পড়লে সেই ব্যক্তি সারাটাদিন আল্লাহের হেফাজতে কাটায়, তার সারাদিনের দায়িত্ব আল্লাহ সুবানাওতালা নিজে নেন।
৩, ফজরের নামাজ পড়লে ফেরেশতাগণ আল্লাহের কাছে গিয়ে ওই ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করে, বলে যে অমুক ব্যাক্তি ভালো কাজ করছে, নামাজ আদায় করছে।
৪, ফজরের নামাজ জামায়াতের সাথে পড়লে আল্লাহ তায়ালা তাকে সারারাত নফল নামাজ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সওয়াব দান করেন।
৫, ফজরের নামাজ যে নিয়মিত পরে, আল্লাহ তায়ালা তাকে কিয়ামতের দিন আলোর ব্যাবস্থা করে দিবেন।
৬, নিয়মিত ফজরের নামাজ জামায়াতের সাথে পড়া ব্যাক্তি কিয়ামতের দিন আল্লাহ সুবানাওতালা কে পূর্ণিমার চাঁদের মতো স্পষ্ট দেখতে পাবে, কোনো অসুবিধা হবেনা।
৭, যে ব্যাক্তি ফজরের নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করবে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তির ঘোষণা পেয়ে যাবে।
এক হাদিসে এসেছে রাসূলুল্লাহ(স:) বলেছেন, তোমরা ফজর ও আসরের নামাজ জামায়াতের সাথে পড়ার চেষ্টা করো, কারণ তা হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তির পথ।
৮, এই ফজরের টাইমে রাসূলুল্লাহ(স:) বরকতের দোয়া করেছেন। তাই কেউ যদি এই ফজরের টাইমে উঠে নামাজ পড়ে, তাহলে বরকতের রাস্তা বের হয়ে যায়।
৯, ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ দুনিয়া ও দুনিয়ার মাঝে যা কিছু আছে তার থেকে উত্তম।
১০, ফজরের নামাজ পড়লে মন ভালো থাকে, মন ফ্রেস হয়ে যায়, মনে উত্তেজনা থাকে। তাই ফজরের নামাজ মন ভালো রাখার এক উত্তম উপায়।
👆👆👆ওপরিক্ত ফজিলত গুলি ছাড়াও একটা extra ফজিলত হলো, আপনারা দেখবেন যারা ফজরের নামাজ পড়ে তারা শরীর স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে খুব ভালো। তাদের কোনো অসুখ বিশুক কম হয়।।।
আল্লাহ আমাদের ফজরের নামাজের গুরুত্ব বুঝে তা নিয়মিত পালন করার তৌফিক দান করেন। আমিন।।