আজকের অগ্নি দুর্ঘটনায় অনেকে হতাহত হয়েছেন। একমাত্র তাদের পরিবারই জানে কি রকম দুঃসময় যাচ্ছে তাদের উপর দিয়ে।
যে কোন দুর্ঘটনার খবর দেখলে আমার মনে হয় ওই অবস্থায় পড়লে আমি কি করতাম? কিভাবে নিজেকে বাঁচাতাম? বা অন্যদেরকে?
একসময় হরতাল বা অন্য কিছু থাকলে রাস্তায় বের হতাম অনেক ভেবে চিন্তে। কেননা আমার ওজন কিছুটা বেশী। হঠাৎ দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে গেলে আমার উপায় থাকবে না। বয়সও তো কিছু হয়েছে। দৌড়াদৌড়ির ব্যাপারে আমি এখন আনফিট। আর যদি দড়ি বেয়ে উঁচু বিল্ডিং থেকে নামতে হয় - তাহলেই শেষ।
পর মুহূর্তেই মনে হলঃ আমাদের এই প্রিয় শহরটা নিজেই আসলে আনফিট হয়ে গেছে। এই শহরে দুর্বলের কোন স্থান নাই। শিশু বৃদ্ধ এদের চলাচলের অনুপযোগী অনেক আগেই হয়ে আছে এই শহর। যাদের গাড়ী নাই তাদের বাসে উঠাটাও শারীরিক যোগ্যতায় করতে হয়। পথচারীদেরও চোখ কান খোলা রেখে পথে চলতে হয়। শহরের নাগরিকদের জন্য কমান্ডো ট্রেনিং দরকার পরে না। কিন্তু এই শহরে থাকতে হলে শারীরিক যোগ্যতাও নিশ্চিত করতে হয়।
এই শহর এখন কেবল মাত্র সুপারম্যানদের জন্য। সেটা অর্থ, স্বাস্থ্য এমনকি মামা চাচা এমন সব কিছুতেই সুপারম্যান হতে হবে। একটি দুইটি হলে হবে না। সবগুলোই সুপারম্যান সুলভ হতে হবে। যেটি থাকবে না - সেইটাতেই আপনাকে এই শহর গলা চেপে ধরবে।
(আমার ফেসবুক পোস্ট ২৮ - ০৩ - ২০১৯)