একটি লেখা লেখার জন্য রাত জেগে বসে থাকা। মন কত সহজে ভেবে চলে। কিন্তু তা লেখায় ফুটিয়ে তোলা ততো সহজ নয়। মন যুবকের ক্ষিপ্রতায় দৌড়ে চলে। আর লেখা যেন শিশুর হাটিহাটি পাপা চলতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়।
তাও ভালো যে - মানুষের মন কাঁচের মত স্বচ্ছ নয়। যদি একজন মানুষ অন্য মানুষের মনের ভেতরটা সরাসরি দেখতে পেত? একজনের মনের ভালো খারাপ সব কিছু বাইরে থেকেই বুঝে ফেললে মানুষের বিপদই ছিল। পরক্ষনেই মনে হল তাহলেই হয়তো মানুষের জীবনটা আরও সহজ হত।
মিথ্যা কথা কিংবা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়ার দিন শেষ হয়ে যেত। ভন্ড মানুষদের ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বের হতে হত পথে পথে।
শিশুর মন বেশী কিছু ভাবে না। কোন স্মৃতিই তার মনে স্থান করে নেয়নি। আর বৃদ্ধের মন যেন তাকে নিজেকে শাস্তি দিয়ে চলে প্রতি মুহূর্তে। কত মানুষ, কত নাম, কত স্মৃতি, কত বেদনা, কত তারিখ তার মনে ভার হয়ে আছে।
মন শুধু ওয়ান ওয়ে রোড। এখানে স্মৃতি শুধু জমা হয়। স্মৃতি বের হওয়ার কোন পথ নাই। স্মৃতি জমে জমে ভর্তি হয়ে চলে। ঠিক যেভাবে পুরানো বাসায় ফার্নিচার আর জিনিসপত্র দিয়ে ভর্তি হয়। সব কিছুই আছে বাসায় কিন্তু ঠিক সময়ে খুজে পাওয়া দুঃসাধ্য একটি ব্যাপার। জিনিস গুলো নিয়ে সময় কাটানো কোন ব্যাপারই নয়। চাইলে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটানো যায়।
কখনো কোন মূল্যবান স্মৃতি হারানো যায়। কোনটা বা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়।
বৃদ্ধ মন সব কিছু বুঝে। সব বেদনা সে অনুভব করতে পারে।তার এই সেন্সেটিভ মন নিয়ে সে সব সময় হৃদয়ে আঘাত পায়। বৃদ্ধের থাকে বিশাল স্মৃতি ভান্ডার।নিজের জন্য যেমন - অন্যের বেদনাও সে অনুভব করতে পারে। বৃদ্ধের কথার গুরুত্ব অনেক। কোনটা কখন কোথায় বলতে হবে - এতো বিবেচনা কেবলমাত্র বৃদ্ধদেরকেই করতে হয়।
বৃদ্ধদের মূল্য কেবলমাত্র থার্ড জেনারেশনের কাছে। সেকেন্ড জেনারেশনের কাছে সে কেবলমাত্র ঝামেলা বাড়ানোর মাধ্যম ছাড়া আর কিছু নয়।
বৃদ্ধ সবার কথা ভাবে। সবাইকে নিয়ে চলতে চায়। কিন্তু সেখানে কেউই বৃদ্ধের কথা ভাবে না। তাকে গা ঝাড়া দিয়ে দূরে পাঠাতে পারলেই যেন সবাই বেঁচে যায়।