চীনের অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত

Author Topic: চীনের অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত  (Read 949 times)

Offline snlatif

  • Faculty
  • Sr. Member
  • *
  • Posts: 267
    • View Profile
২০০২ সালে চীনে যখন সার্স ভাইরাস ছড়ায় তখন টি-শার্ট ও স্নিকার্সের মতো কম মূল্যের পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় পথে বসেছিল। এর ১৭ বছর পর আবারো চীনে আরেকটি ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। এবং এবারও এই ভাইরাসটি চীনের উৎপাদন ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করেছে। তবে সার্স ভাইরাসের সময়কার চীন ও বর্তমান চীনের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো তাদের অর্থনীতি। তখন চীনের জিডিপি ছিল ১.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে দেশটির জিডিপি ১৩.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি।
এত বিশাল অর্থনীতির দেশে এক সপ্তাহের বেশি সময় স্থবির হয়ে থাকার প্রভাব বেশ সুদূরপ্রসারী। করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর চীনের আর্থিক প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াতে পারে ৫.৬ শতাংশে। যা গত বছর ছিল ৬.১ শতাংশ। এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ০.২ শতাংশ কমে গিয়ে ২.৩ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। যা সর্বশেষ বৈশ্বিক আর্থিক মন্দার পর সবচেয়ে কম।

লুনার নিউ ইয়ার চীনের পর্যটন ও সেবা খাতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌসুম। কিন্তু এ বছর হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলো প্রায় জনশূন্য ছিল। অধিকাংশ কনসার্ট ও স্পোর্টিং ইভেন্ট বাতিল করা হয়েছে। একাধিক সিনেমা মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সেগুলো স্থগিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাসের কারণে চীনের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। যা শুধুমাত্র বছরের প্রথম কোয়ার্টারের আনুমানিক হিসাব।
করোনা ভাইরাসের কারণে চীনে বেকারত্বের হারও বৃদ্ধি পেতে পারে। চলতি বছর চীনের চাকরির বাজার এমনিতেই চাপে ছিল। চীনের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে প্রযুক্তি খাতে কাজের সুযোগ আগের চেয়ে কমেছে। এর মধ্যে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে।

এছাড়া প্রতিবছর চীনের প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ গ্রাম থেকে শহরে কাজের সন্ধানে আসেন। তারা খুবই কম মূল্যে নির্মাণ ও উৎপাদন খাতে কাজ করে থাকেন। কিন্তু এ বছর অনেক কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে তাদের কাজ পাওয়া বেশ কঠিন হবে। বিশেষ করে হুবেই প্রদেশের ১০ লাখ কর্মজীবী মানুষকে কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে হবে। কারণ সেখানেই করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি। এর মধ্যে ভোগ্যপণ্যে দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তা নাগালের বাইরে চলে যায়, তাহলে চীনের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে এ বছর জীবনের সাথে সংগ্রাম করতে হবে।

আরেকটি বিষয় হলো যেসব বিদেশী কোম্পানি চীনের উপর নির্ভরশীল তারা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। যদি এরপরও তারা যদি তাদের চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ চীন থেকে না পায়, তাহলে তারা বিকল্প চিন্তাভাবনা করবে। এক্ষেত্রে অবশ্য বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনা রয়েছে। যেসব ইউরোপিয়ান কোম্পানি চীন থেকে তৈরি পোশাক কিনে থাকেন, তারা বাংলাদেশ কিংবা ভিয়েতনামের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে।

[Collected]

Offline zafrin.eng

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 390
  • Test
    • View Profile
A very significant information!