সবাই মিলে নিরাপদ রাখি ইন্টারনেট

Author Topic: সবাই মিলে নিরাপদ রাখি ইন্টারনেট  (Read 1161 times)

Offline Shahana Parvin

  • Newbie
  • *
  • Posts: 26
  • Test
    • View Profile
ইন্টারনেট ছাড়া এক মুহূর্ত এখন চলে না আমাদের। পড়াশোনা, কাজের পাশাপাশি বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ইন্টারনেট। কিন্তু ইন্টারনেটে আমরা সবাই কি নিরাপদ? মোটেও তা নয়। আর তাই সবাইকে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতন করার জন্য আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে পালন করা হচ্ছে নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস বা সেফার ইন্টারনেট ডে ২০২২ (এসআইডি)। ১৯ বারের মতো পালিত হচ্ছে এই দিবস। এবারের নিরাপদ ইন্টারনেট দিবসের প্রতিপাদ্য উন্নত ইন্টারনেটের জন্য সবাই’ (টুগেদার ফর এ বেটার ইন্টারনেট)। ২০০৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেফবর্ডারস প্রকল্পের অংশ হিসেবে নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস প্রথম পালন করে। ২০০৫ সাল থেকে দিবসটি পালন করছে ইনসেফ নেটওয়ার্ক। ২০০৯ সাল থেকে ইউরোপের গণ্ডি পেরিয়ে দিবসটি পালন করা শুরু করে অন্যান্য দেশও। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে বর্তমানে প্রায় ২০০টি দেশে দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও পালন করা হচ্ছে নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস ২০২২। প্রযুক্তি ব্যবহারে দায়িত্বশীলতা, সৃজনশীলতা ও নিরাপদ থাকার জন্য প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার খুব যে কঠিন তা কিন্তু নয়। সাইবার হামলাকারীদের থেকে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য ও ডিভাইস রক্ষা করে প্রয়োজনীয় কনটেন্ট ব্যবহার করাকেই মূলত নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার বোঝায়।

নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে সচেতনতা। নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ‘অনলাইন নিরাপত্তা’র বিষয়ে ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন। কম্পিউটার, স্মার্টফোন ব্যবহারের করলেও ইন্টারেনট ব্যবহারে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। পাশাপাশি সন্তানদের নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দিতে তাদের ব্রাউজিং ইতিহাস (যেসব ওয়েবসাইট দেখা হয়েছে) দেখা উচিত। শিশুরা কতক্ষণ ইন্টারনেট ব্যবহার করবে, তা নির্ধারণের পাশাপাশি ‘প্যারেন্টাল কন্ট্রোল’ সুবিধার মাধম্যে শিশুর জন্য অনুপযুক্ত সাইটগুলো ব্লকও করতে হবে। প্যারেন্টাল কন্ট্রোল হচ্ছে শিশুদের জন্য আপত্তিকর বা অনুপযুক্ত ওয়েবসাইট ব্লক বা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ফিল্টার করার ব্যবস্থা। ‘প্যারেন্টাল কন্ট্রোল’ সুবিধাটি ব্যবহার করলে অনলাইনে অশ্লীল ওয়েবসাইট বা কনটেন্ট চালু হয় না। ফলে শিশুরা চাইলেও ওয়েবসাইটগুলোর কনটেন্ট দেখতে পারে না। এর পাশাপাশি চাইলে শিশুদের জন্য সাধারণ ইউটিউবের বদলে ‘ইউটিউব কিডস’ সংস্করণটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

শুধু তা–ই নয়, স্ক্রিন টাইম (ভিডিও বা কনটেন্ট দেখার সময়) নির্ধারণের মাধ্যমে শিশুদের ইউটিউবে ভিডিও দেখার সময়ও বেঁধে দেওয়া যাবে। ‘প্যারেন্টাল কন্ট্রোল’ সুবিধা কাজে লাগিয়ে অনলাইন জুয়া পরিচালনাকারী বিভিন্ন ওয়েবসাইটও ব্লক করে দেওয়া যায়। প্রতিদিন কোন সময়ে কতক্ষণ সন্তান ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে, তা আগে থেকেই নির্দিষ্ট করে দেওয়া যাবে। ফলে সন্তান আপনার অগোচরে তার জন্য উপযোগী নয়, এমন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে না পারার পাশাপাশি অতিরিক্ত সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে না।

করোনাকালে শিশুদের পড়াশোনা বা প্রয়োজনীয় কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করতেই হয়। তাই অভিভাবকদের পাশাপাশি শিশুদের অনলাইন সুরক্ষায় শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরও দায়িত্ব রয়েছে। কারণ, আমরা যদি শিশুদের জন্য ডিজিটাল স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই, তাহলে তাদেরকে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের কৌশল শেখানোর মাধ্যমেই অনলাইনে নিরাপদ রাখতে হবে। নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারে করণীয়

● অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইটে বা অ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে। এ জন্য অপরিচিত ওয়েবসাইট বা অ্যাপস ব্যবহার না করাই ভালো।

● লটারি বা বিভিন্ন পুরস্কারের প্রলোভনে পাঠানো ই-মেইল বা বার্তা খোলা যাবে না। একটি বিষয় মনে রাখলে ভালো হয়, অনলাইনে নানা ধরনের পুরস্কারের প্রলোভন দিয়ে মূলত ব্যবহারকারীদের যন্ত্রে ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস পাঠিয়ে সাইবার হামলা চালানো হয়ে থাকে।

● সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধু নির্বাচনে সচেতন হতে হবে। কারও বিষয়ে ভালো করে জানা না থাকলে তাকে বন্ধুর তালিকায় স্থান না দেওয়াই ভালো।

● সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত বা অপরিচিত কাউকেই একান্ত ব্যক্তিগত কোনো তথ্য, ছবি বা ভিডিও পাঠানো থেকে বিরত থাকতে হবে। এসব তথ্য বা ভিডিও সংগ্রহ করে ব্যবহারকারীদের বিপদে ফেলতে পারে পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তিরা।

● কম্পিউটার, মুঠোফোনের পাশাপাশি ই-মেইল ও সামাজিক যোগাযোগের সাইটের জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।

● আমরা অনেকেই ঘরে বা বাইরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লগইন থাকা অবস্থায় কম্পিউটার বা মুঠোফোন চালু রেখে বিভিন্ন কাজ করি। এতে তথ্য চুরির পাশাপাশি পাসওয়ার্ড বেহাত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

● অপরিচিত স্থানে গিয়ে ওয়াই-ফাই সংযোগ দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার না করাই ভালো।

● প্রয়োজন শেষ হলেই অবশ্যই মুঠোফোনের ব্লুটুথ ও জিপিএস ফিচারটি বন্ধ রাখতে হবে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অবস্থান অপরিচিত ব্যক্তিদের কাছে প্রকাশ হয়ে যায়।

● নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য অবশ্যই কম্পিউটার ও মুঠোফোনে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।

Offline dulal.lib

  • Newbie
  • *
  • Posts: 43
  • Test
    • View Profile
আমাদের সবার উচিত, সবাই মিলে ইন্টারনেট নিরাপদ রাখা।
Md. Dulal Uddin
BSS (Hon's) and MSS in
ISLM, Rajshahi University.

Library Officer
Daffodil International University
Daffodil Smart City, Ashulia, Savar, Dhaka, Bangladesh
Cell: 01847334802/01738379730