সবচেয়ে বড় পেরেশানী
আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষের সবচেয়ে বড় পেরেশানী সম্ভবত রিযিক্ব নিয়ে। অন্তত আমার অভিজ্ঞতা তাই বলে।
রিযিক্ব বলতে শুধুই চাকুরী, ব্যবসা, অর্থ বা সম্পদকে বুঝায় না। সন্তানও একটি রিযিক্ব। অবসর সময়ও একটি রিযিক্ব। সুস্বাস্থ্যও একটি রিযিক্ব। ‘ইবাদাতের একনিষ্ঠ আগ্রহও একটি রিযিক্ব হতে পারে। বিয়ের জন্য নেককার সঙ্গীও হতে পারে একটি রিযিক্ব।
আল-কুরআনে আল্লাহ্ ﷻ কমপক্ষে ৪১টি সুরায় ১০৫ বার রিযিক্বের বিষয় উল্লেখ করেছেন। রিযিক্বের বিষয়ে আমাদের পেরেশানী থাকতে পারে, ফিকিরও থাকবে নিশ্চয়ই। কিন্তু পূর্ণ আস্থা ও ইয়াক্বীন রাখতে হবে একমাত্র
আল্লাহ্ ﷻ এঁর উপর। তিনি “খাইরুর রাযিক্বীন”, সর্বোত্তম রিযিক্বদাতা। শুধুমাত্র তাঁর কাছেই সামগ্রিকভাবে রিযিক্বের জন্য মুখাপেক্ষী আমরা সবাই।
আপনি যেই সুদের চাকরীটি ছাড়তে পারছেন না, আপনি যেই হারামের চাকুরীটি ছেড়ে দিবেন বলে ঠিক করেও চালিয়ে যাচ্ছেন, চাকুরী বা সন্তান লাভের জন্য বিভিন্ন পীর-ফকিরের কাছে দৌড়াচ্ছেন কিংবা বিয়ে হচ্ছে না বলে দেয়ালে কপাল ঠুঁকছেন – এইসব কিছুই মূলতঃ “সোজা কথায়” আর রাযযাক্ব এঁর উপর আপনার পরিপূর্ণ আস্থা না থাকার ফল।
কথাটি তিক্ত হতে পারে, কিন্তু এটিই ধ্রুব সত্য। আপনি যদি সর্বোত্তম রিযিক্বদাতা হিসেবে আল্লাহ্ ﷻ কে মেনে নিতেই পারেন, তবে আপনার পেরেশানীর মাত্রা এই পর্যায়ে পৌঁছাত না। হারাম চাকুরী ছাড়লে কী খাবেন, কিভাবে চলবেন – এই চিন্তাগুলো মাথা থেকে হারিয়ে যেত নিমেষেই। নিজের চেষ্টার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে বাকীটুকুর জন্য তখন আপনি শুধু আল্লাহ্ ﷻ এঁর উপরই নির্ভর করতেন।
দুঃখজনক ও তিক্ততম সত্য – আমরা অধিকাংশরাই সেটি করতে পারি না। আল্লাহ সহজ করুক।
'(হে মুহাম্মাদ) বলুন, আমার পালনকর্তা যাকে ইচ্ছা রিযিক্ব বাড়িয়ে দেন এবং পরিমিত দেন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা বোঝে না।' [সুরা সাবা, ৩৬]
আল্লাহ্ ﷻ আমাদের ওই “অধিকাংশদের” থেকে পৃথক করে “অল্প সংখ্যকদের” কাতারে শামিল করুক।
© মোহাম্মদ জাভেদ কায়সার
Source: Collected from Social Media