রাসূল(স) এর সময়ে সাহাবীদের ঈমান কতোটা বেশি ছিলো, তাদের অন্তর কতোটা পবিত্র ছিলো তাইনা?
রাসূল(স) এর স্ত্রী দের চরিত্র কতোটা পবিত্র ছিলো! তাঁরা সাহাবীদের কাছে কতোটা সম্মানীয় ছিলেন! তাঁদের সম্মান ও মর্যাদা এতোই বেশি যে রাসূল(স) এর স্ত্রী রা ছিলেন সকল উম্মতের মা।
আল্লাহ বলেছেনঃ "নবী মুমিনদের কাছে তাদের নিজেদের চেয়েও ঘনিষ্টতর এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মা।" (সূরা আহযাব, আয়াত ৬)
তাঁদের অন্তর এতো পবিত্র ছিলো, তাঁদের চরিত্র কতো সুন্দর ছিলো। কিন্তু তারপরেও রাসূলের স্ত্রীদের সামনে সাহাবীরা যেতেন না। কোনো দরকার হলে পর্দার আড়ালে থেকে কথা বলতেন। কিন্তু কেন? কারণঃ মহান আল্লাহ বলেছেনঃ "তোমরা (সাহাবীরা) তোমাদের নবীর পত্নীদের কাছ থেকে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এ বিধান তোমাদের ও তাদের হৃদয়ের জন্য বেশী পবিত্ৰ"
চিন্তা করতে পারছেন? ইসলামে ফ্রি মিক্সিং আমাদের সকলের জন্য তো হারামই, এমনকি রাসূল(স) এর সময়ে সাহাবীদেরকেও আল্লাহ নিষেধ করেছেন রাসূলের স্ত্রীদের সামনে না যেতে। অথচ এই ফ্রি মিক্সিং এমন কিছু বিষয়ের একটি যা এখনকার মুসলিমরা সব থেকে বেশি ইগ্নোর করে বা বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে নরমালাইজ করার চেষ্টা করে। অমুক আমার কাজিন তাই ওর সাথে ঘুরলে প্রব্লেম নাই, তমুক আমার পাশের বাড়ির ছেলে তাই তার সাথে রেস্টুরেন্টে গেলে সমস্যা নাই। সে আমার ক্লাসমেট, উনি আমার টিচার , তিনি আমার ভাইয়ের মতো ইত্যাদি ইত্যাদি হাজার রকম কারণ দেখিয়ে পর্দার খেলাফ করা হয় হরহামেশা।
কিন্তু যেটা হারাম সেটা তো হারামই। আর এখন আমাদের অন্তরে এতো ফিতনা, আমাদের অন্তর এতো দূষিত যার জন্য এই বিধান মেনে চলা এখন আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এটাকেই এখন মারাত্মকভাবে অবহেলা করা হয়। সাহাবীদের জন্যেও যেটি নিষিদ্ধ ছিলো, সেটি আমরা হালাল মনে করে করছি। তাহলে আমাদের চরিত্র কি সাহাবীদের থেকেও উত্তম? আমাদের ঈমান কি সাহাবীদের থেকেও বেশি?
রাসূল (স) বলেছেনঃ 'সকল যুগের মুমিনদের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার যুগের মুমিনেরা' (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৪২৯)
সুতরাং কোনো নারীর পক্ষে রাসূল(স) এর স্ত্রীদের থেকে উত্তম হওয়া অসম্ভব। আবার কোনো পুরুষের পক্ষে সাহাবীদের থেকে উত্তম হওয়াও অসম্ভব। অথচ আমরা ফ্রি মিক্সিংকে এমনভাবে এমন সব যুক্তি দিয়ে নরমালাইজ করার চেষ্টা করছি যেন আমরা সাহাবীদের থেকেও অধিক উত্তম! যে জিনিসটি আমরা বুঝতে চাইনা টা হলো মহান আল্লাহ নারী ও পুরুষদের সৃষ্টি করেছেন সুতরাং তিনি আমাদের জন্য কোনটা ভালো কোনটা মন্দ সেটা সব থেকে বেশি ভালো জানেন। তিনি যখন কোনো কিছুকে আমাদের জন্য ক্ষতিকর বলেছেন তখন সেটা অবশ্যই আমাদের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু সেই আল্লাহর আদেশ অমান্য করে সেই ক্ষতিকর নিষিদ্ধ কাজ করতে থাকলে তার পরিণাম হয়তো আমাদের এই দুনিয়াতেই ভোগ করতে হবে।
Source: https://www.facebook.com/groups/tuhinkhan