ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঐ ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করবে, যে আল্লাহকে রবরূপে, ইসলামকে দীনরূপে এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে রাসূলরূপে সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহণ করবে।
{সহীহ মুসলিম,হাদিস নং-৩৪}
۩۞۩۩۞۩۩۞۩۩۞۩۩۞۩۞۩۩۞۩۩۞۩۩۞۩۩۞۩۞۩۩۞۩۩۞۩۩۞۩۩۞
দেহের খাদ্যে যেমন স্বাদ রয়েছে তদ্রুপ রূহের খাদ্যেও নিজস্ব স্বাদ রয়েছে। নামায,রোযা, হজ্ব, যাকাত,জিহাদ সহ প্রতিটি আমলের নিজস্ব স্বাদ আছে এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দারা সেই স্বাদ অনুভব করে। আর রূহের প্রধান খাদ্য ঈমানেরও নিজস্ব স্বাদ রয়েছে।
অসুস্থ ব্যাক্তি যেমন খাদ্যের স্বাদ বুঝতে পারে না, বরং সুস্বাদু খাদ্যও তার নিকট বিস্বাদ মনে হয়, তেমনি রূহানী খাদ্য তথা যাবতীয় আমল ও ঈমানের স্বাদ পাওয়া সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। যে ব্যাক্তি শুধু যুক্তি ও চিন্তাগতভাবে নয় বরং সন্তুষ্টচিত্তে আল্লাহকে রব, ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ দ্বীন ও জীবনবিধান এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাসূল ও পথপ্রদর্শক হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে সে-ই ঈমানের এবং অন্যান্য আমলের স্বাদ আস্বাদন করতে পারবে। ঈমানের স্বাদ পাওয়ার পর আমলের স্বাদ পাওয়া স্বাভাবিক,তাই এটার কথা আলাদাভাবে বলা হয় নাই।