অনেকেই ভাত খাওয়ার মাঝে ঘনঘন পানি পান করেন। খাওয়ার জন্য পানি পান যে দরকারি তা কিন্তু নয়। অভ্যাসবশত অনেকেই কাজটি করেন; কিন্তু না বুঝে যারা এ কাজটি করেন তারা আসলে তাদের পাকস্থলীর হজমশক্তিকে বিঘি্নত করেন। অনেকেই মনে করেন, খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে পানি পান খাদ্যকে পাকস্থলীতে পৌঁছাতে সাহায্য করে; কিন্তু এটি পুরোপুরি ভুল তথ্য। এতে উল্টো হজমশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খাওয়ার সময় পাকস্থলী রেচক রসনিঃসরণ করে, যা হজমের কাজে লাগে; কিন্তু ওই সময় পানি পান করলে তা ওই রসকে পাতলা তরলে পরিণত করে। এভাবে তা খাদ্যবস্তুর বিপাক প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অল্প পানি পানে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, তবে এক গ্লাস বা তার বেশি পান করা অবশ্যই ক্ষতিকর। খাওয়ার দু’ঘণ্টা পর পানি বা পানীয় পানের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এতে খাদ্য হজমের পাশাপাশি পুষ্টি উপাদান গ্রহণে সক্ষম হয় শরীর।
পানির সঙ্গে পাচক রস মিশে গিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি করে তা হলো, এটি খাদ্য বিপাকের জন্য আরও বেশি পাচক রস নিঃসরণে বাধা দেয়। ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না, যা থেকে বুক জ্বালা ও এসিডিটির মতো সমস্যার উদ্ভব হয়। খাওয়ার সময় পানি পানে ইনসুলিন নিঃসরণও বৃদ্ধি পায়।
যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করছেন কি-না তা বোঝার ভালো উপায় হচ্ছে তেষ্টা অনুভব করছেন কি-না তা খেয়াল রাখা। যদি তৃষ্ণা না পায় তাহলে আপনি পানি যথেষ্টই পান করেছেন বলে ধরে নেওয়া যায়; কিন্তু খাবারের মধ্যে পানি পান এ তেষ্টা নিবারণের মোটেও উপযুক্ত সময় নয়।
সূত্র :টাইমস অব ইন্ডিয়া।