স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ মাত্রই গুরুতর কারণ ছাড়াই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল বা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। কারণ সমূহ রোগ থেকে আগেভাগেই সতর্ক থাকতে চান সবাই। অনেক চিকিৎসকও এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে এ ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শরীরের জন্য কতটুকু সহায়ক? স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে এ শঙ্কা যে কারো হতে পারে। আর এই শঙ্কাকে আমলে নিয়ে সম্প্রতি একদল গবেষক তাঁদের গবেষণায় সে রকম আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন।
ব্রিটেনের ওই গবেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, সাধারণত বেশি বেশি 'বডি চেকআপ' বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এমনকি এ ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলে হতে পারে ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি! তাঁরা উদাহরণ দিতে গিয়ে আরো উল্লেখ করেছেন, ২০০৫ সালে বেশি বেশি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে এমনই বিপদের মুখোমুখি হয়েছিলেন কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্রায়ান মলিরনি। স্কটল্যান্ডের নামকরা চিকিৎসক মার্গারেট মেক কার্টনি 'দ্য পেশেন্ট প্যারাডঙ্' নামক নিজের লেখা একটি বইতে এ তথ্য জানান।
গবেষকরা আরো জানান, অধিকাংশ মানুষ মনে করে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে তারা সুস্থ থাকবে। বিশেষ করে ব্রিটেনে হরহামেশাই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভিড় করে অতি সচেতন মানুষরা। এ ছাড়া দেখা যায় উন্নয়নশীল দেশের স্বচ্ছলরা অকারণে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়মিত দৌড়াদৌড়ি করে হাসপাতালে। অথচ তারা হয়তো জানে না রক্ত পরীক্ষা, আলট্রাসাউন্ড, এমআরআই ও সিটি স্ক্যানের মতো পরীক্ষাগুলো স্বাস্থ্যের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। সূত্র : ডেইলি মেইল