
বিশ্ব জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। সোমবার আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেসন ইউনিয়ন (আইটিইউ) প্রকাশিত ‘ব্রডব্যান্ড কমিউনিকেসন ফর ডিজিটাল ডেভলপমেন্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের ‘স্টেট অব ব্রডব্যান্ড ২০১২’ সংক্রান্ত রিপোর্টে এই তথ্য দেয়া হয়েছে। মূলত মানুষের হাতে মোবাইলফোন সেবা দ্রুত পৌঁছে যাওয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারের এই হার ক্রমেই বাড়ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমে বাড়তে থাকলেও এ নিয়ে অবশ্য এখনই স্বস্তি প্রকাশ করছে না সংস্থাটি। তারা বলছেন, মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোলের নির্ধারিত টার্গেট অর্জন করতে এখনো অনেক কিছু করার আছে।
আইটিইউ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, বর্তমানে উন্নত দেশগুলোর ২০.৫ শতাংশ বাসা-বাড়িতে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। কিন্তু আইটিইউ বলছে, তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ২০১৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৪০ শতাংশতে উন্নীত করতে হবে।
রিপোর্টটিতে বিশ্বের মোট ১৭০টিরও বেশি দেশের ওপর গবেষণা চালিয়ে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে দেশভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার তুলে ধরা হয়েছে। এরমধ্যে দেখা যায়, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে আইসল্যান্ডে। দেশটির প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষই ইন্টারনেট ব্যবহার করে। সেদিক থেকে তালিকার শেষ দেশটির নাম তিমুর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপ দেশটিতে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার মাত্র ০.৯ শতাংশ। তবে আইটিইউ প্রকাশিত এই তালিকায় ইন্টারনেট ব্যবহারের দিকে থেকে আমেরিকার অবস্থান ২৩ নম্বরে।
রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার ফলে অনলাইনে বেশ কিছু ভাষার মধ্যেও কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান এই ঊর্ধ্বমুখী প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে ২০১৫ সালের মধ্যে অন্য ভাষায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ইংরেজিকে ছাড়িয়ে যাবে।
রিপোর্টটিতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অংশগ্রহণের বিষয়টিরও তালিকা করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী দেখা যায়, এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এশিয়ার আরেক দেশ ইন্দোনেশিয়া। এছাড়া তালিকার শীর্ষ পাঁচের মধ্যে নাম রয়েছে মালয়েশিয়া, ব্রাজিল ও রাশিয়ার নাম। আর সারা বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহারের হার ৫৫ শতাংশ। সূত্র: এ.জে