নোয়াখালীসহ বিভিন্ন স্থানে চাষ হচ্ছে এবং সেসব মাছই এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন অ্যাকুরিয়ামের বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তাই কেবল শখ কিংবা সৌন্দর্যবর্ধন নয়, চাইলে অ্যাকুরিয়াম মাছের চাষ ও ব্যবসা করে যেমন সাবলম্বী হওয়া যাবে, তেমনি বিদেশে রঙিন মাছ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও আয় করা যাবে।
অ্যাকুরিয়ামে পোষার জন্য কাঁটাবনে যেসব মাছ পাওয়া যায় তার মধ্যে রয়েছে সিলভার শার্ক, এলবিনো শার্ক, টাইগার শার্ক, রেইনবো শার্ক, টাইগার বার্ব, রোজি বার্ব, গোল্ড ফিশ, অ্যাঞ্জেল ফিশ, ক্যাট ফিশ, সাকিং ক্যাট, কমেট, মলি, ফলি, গপ্পি, ব্লু-গোরামি, সিলভার ডলার, অস্কার, ব্লু-আকারা, টেলিচো, কৈ কার্প, টাইগার কৈ কার্প, ব্ল্যাক মুর, সোটটেল, প্লাটি, এরোনা, ফ্লাওয়ার হর্ন, হাইফিন নোজ, ব্ল্যাক গোস্ট, সিসকাসসহ বিভিন্ন প্রজাতি। এসব মাছ প্রতিজোড়া ৫০ থেকে ৭০০ টাকায় কেনা যাবে। আবার কিছু মাছের দাম বেশিও হয়। তবে দাম অনেকটা নির্ভর করে ছোট-বড় ও প্রজাতির ওপর।
কাঁটাবনের ব্যবসায়ীরা জানান, মাছের খাবার সাধারণত দুই ধরনের হয়। শুকনো খাবার ও পোকামাকড়। প্রতি ১০০ গ্রাম খাবারের দাম ২৫ থেকে ৫০ টাকা। অ্যাকুরিয়ামে মাছের অসুখ-বিসুখ হলে তার ওষুধও কাঁটাবন থেকে কেনা যাবে। অবশ্য মাছের অসুখের জন্য তেমন পেশাদার চিকিৎসক নেই বলে ব্যবসায়ীরা জানান। অ্যাকুরিয়াম বক্স নিজের পছন্দমতো বানিয়েও নেওয়া যায়। এ ছাড়া বাজারে ছোট-বড় বিভিন্ন মাপের অ্যাকুরিয়াম বক্স কিনতে পাওয়া যায়। দুই থেকে সাড়ে তিন ফুট আকারের অ্যাকুরিয়াম বক্সের দাম এক হাজার ২০০ থেকে চার হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া ছোট কাচের পাত্রেও রঙিন মাছ পোষা যায়। এসব পাত্রের দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা। অ্যাকুরিয়ামে মাছ রাখতে হলে এয়ার পাম্প, ছোট নেট, পাথরের টুকরাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম লাগে।
অ্যাকুরিয়ামে মাছ পুষতে হলে কিছু নিয়ম মানতে হবে। যেমন, মাছের খাবার নিয়মিত দিতে হবে। সপ্তাহে একদিন অ্যাকুরিয়ামের পানি পাল্টাতে হবে।
এগ্রোবাংলা ডটকম