দুধকে বলা হয় সুষম খাবার। শিশু মায়ের বুকের দুধ ছাড়ার পর পরিমাণ মতো গরুর দুধ খেলে শরীরের হাড় ও পুষ্টি বিকাশে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু 'পরিমাণ' মানে কতটুকু তা এত দিন পর্যন্ত নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিন দুই কাপ গরুর দুধ ভালো স্বস্থ্যের নিশ্চয়তা দেয়। কানাডার সেন্ট মাইকেল হাসপাতালের শিশুরোগ চিকিৎসকরা ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তাঁদের কাছে চিকিৎসা নিতে আসা এক হাজার ৩০০ স্বাস্থ্যবান শিশুর ওপর গবেষণা চালিয়ে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেন।
সঠিক পরিমাণ জানা না থাকার কারণে অনেকে মনে করেন, যত বেশি দুধ খাওয়ানো যাবে ততই শিশুর পুষ্টি বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, অধিক পরিমাণে দুধ পানের কারণে শরীরে লৌহের (আয়রন) পরিমাণ উল্টো কমতে থাকে। গঠনগত কারণে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা শরীরে বেড়ে গেলে তা লৌহের পরিমাণ কমাতে থাকে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দুই কাপ সমপরিমাণ গরুর দুধ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকলে শিশু প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রন পেতে পারে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সব উপাদান সুষমভাবে শরীরে বজায় থাকে। গবেষকরা জানিয়েছেন, শীতকালে শিশুর ত্বকে তুলনামূলক কালচে রং দেখলে বুঝতে হবে, তার শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
গবেষকদলের প্রধান শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ড. জোনাথন মেগুর জানিয়েছেন, কী পরিমাণ গরুর দুধ দরকার সে সম্বন্ধে মায়েদের যেমন অগুনতি জিজ্ঞাসা থাকে, তেমনি পেশাদার চিকিৎসকরাও সঠিক পরিমাণ বলতে পারেন না। শিশুর শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি ও আয়রনের স্থিতি মাপার জন্য তাঁরা এ গবেষণা চালিয়েছেন বলে তিনি জানান। সূত্র : টাইমস অব ইনডিয়া