নিরামিষাশীদের হৃদরোগের ঝুঁকি কম
ইংল্যাণ্ড ও স্কটল্যাণ্ডের ৪৪ হাজার পাঁচশ’ মানুষের ওপর পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, নিরামিষভোজীদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় শতকরা ৩২ ভাগ কম। হৃদরোগের কারণে তাদের মৃত্যুঝুঁকি কম এবং চিকিৎসা নেয়ার বিড়ম্বনাও পোহোতে হয় কম।
দেহে কলেস্টেরলের মাত্রা, রক্তচাপ এবং দেহের ওজনের তারতম্যই এ স্বাস্থ্যসুরক্ষার কারণ বলে মনে করছেন গবেষকরা।
স্বাস্থ্য বিষয়ক আমেরিকান ‘ক্লিনিক্যাল নিউট্রেশন’ সাময়িকীতে গবেষণার এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
পশ্চিমা বিশ্বে হৃদরোগ একটি বড় ধরনের সমস্যা।অন্য কোনো রোগের তুলনায় এ রোগে কেবল যুক্তরাজ্যেই প্রতিবছর ৯৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।আর হৃদরোগে ভোগে ২৬ লাখ মানুষ।
ধমনীতে চর্বি জমে হৃদযন্ত্রে রক্তসঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়। রক্ত সঞ্চালন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে একসময় হৃদযন্ত্রেরক্রিয়া বন্ধ (হার্ট অ্যাটাক) হয়ে যায়।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ১৫ হাজার একশ’ নিরামিষাশী এবং ২৯ হাজার চারশ’ আমিষভোজীর (মাছ, মাংস) ওপর গবেষণা চালিয়েছেন।
১১ বছরের এ গবেষণায় দেখা যায়, ১৬৯ জন হৃদরোগে মারা গেছে এবং হৃদরোগের কারণে এক হাজার ৬৬ জনকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এদের সবাই শাক- সবজির চেয়ে মাছ-মাংসই বেশি খেতেন।
গবেষণাটি নিয়ে এক মন্তব্যে ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ট্রাকি পার্কার বলেন, “ওই প্রতিবেদনের মূল শিক্ষা মাংস (আমিষ) খাওয়া না খাওয়ার ব্যাপারে নয়; আমাদের উচিত মানসম্মত ও সুষম খাবার গ্রহণ করা।â€
হৃদযন্ত্রের সুস্থতার জন্য প্রত্যেককেই নিরামিষাশী হতে হবে এর কোনো মানে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, লক্ষ্য রাখতে হবে সুষম খাবার খাওয়ার দিকে, তাতে মাছ মাংস থাকুক বা না থাকুক।
তবে নিরামিষ ভোজনে চর্বি কম খাওয়ার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে বলে জানান তিনি।গবেষণায় দেখা, গেছে নিরামিষাশীদের রক্তচাপ কম থাকে, খারাপ কলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে এবং দেহের ওজনও ঠিক থাকে।
Source: Internet
Abu Kalam Shamsuddin
Lecturer
Department of Multimedia Technology and Creative Arts
Daffodil International University