প্রাণঘাতী সার্স ভাইরাসের মতোই আরেক ঘাতক কোরনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ১২ জন।এর মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রাণঘাতী সার্স ভাইরাসের মতোই নতুন একটি ভাইরাস সংক্রমণে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে যুক্তরাজ্যে এক রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।নতুন এ ভাইরাসটিকে করোনাভাইরাস হিসাবে চিহ্নিত করেছেন স্বাস্থ্য বিষেশজ্ঞরা।
ভাইরাসটি প্রথম ধরাপড়ে ২০১২ সালে সৌদি আরবের এক রোগীর দেহে।পরবর্তীতে সে মারা যায়।
এছাড়া, পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে ভ্রমণকারী কয়েকজনের মাঝেও এ ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে।নতুন এ ভাইরাসে যুক্তরাজ্যেও সংক্রমিত হয় একই পরিবারের তিনজন।
আক্রান্ত তৃতীয়জনকে বার্মিংহামের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। রোববার সকালে তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বজুড়ে কোরনাভাইরাসে আক্রান্ত ১২ জনের মধ্যে এ নিয়ে ৬ জনের মৃত্যু হল।
তবে ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ানোর লক্ষণ দেখা গেলেও সামগ্রিকভাবে পুরো জনগোস্ঠীর ওপর এর প্রভাব ততটা ভয়াবহ হবে না বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
ভাইরাসটি ঠিক কোথা থেকে আসছে এবং কিভাবে ছড়াচ্ছে তা ঠিক নিশ্চিত নন তারা।তবে বাদুড়ের ভাইরাসের সঙ্গে নতুন কোরনাভাইরাসের মিল আছে বলেই মনে করছেন গবেষকরা।
আর সে কারণে বাদুড় কিংবা ছাগল, উটের মতো অন্য কোনো প্রাণী থেকে এ ভাইরাস সংক্রমন ঘটছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তারা।
যুক্তরাজ্যে একব্যক্তি তার বাবার কাছ থেকে নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়ার পর ধারণা করা হয় যে, ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে।তবে এ বিষয়টি এখনো শতভাগ নিশ্চিত নন পর্যবেক্ষকরা।
নতুন এ কোরনাভাইরাসে সার্স ভাইরাস সংক্রমণের মতোই নিউমোনিয়া বা শ্বাসকষ্টজনিত রোগ হয় এবং কখনো কখনো কিডনি বিকল হয়ে যায়।২০০৩ সালে বিশ্বে সার্স ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৮শ জনের মৃত্যু হয়েছিল।