‘বিফ’ পাস্তায় ঘোড়ার ডিএনএ সনাক্ত হওয়ার পর মাংসযুক্ত পণ্য সরবরাহ স্থগিত করেছে নেসলে। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক এই কোম্পানিটি এক জার্মান সরবরাহকারীর কাছ থেকে মাংস কিনে থাকে।
বিশ্বের বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির খাদ্যপণ্যে গরুর মাংসের স্থলে ঘোড়ার মাংস পাওয়া যাওয়ার ধারাবাহিক ঘটনায় এবার নেসলের নামও যুক্ত হল।
কোম্পানিটির এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, তাদের পণ্যে ঘোড়ার মাংসের পরিমাণ খুব কম। তবে তা এক শতাংশের বেশি বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
তাদের খাদ্যপণ্যে ঘোড়ার মাংস নেই বলে গেল সপ্তাহে দাবি করেছিল নেসলে, আর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই পণ্যে ঘোড়ার মাংস আবিষ্কৃত হওয়ার মাংসযুক্ত পণ্য সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হলো কোম্পানিটি।
এক জার্মান সরবরাহকারীর মাংসে কিছু সমস্যা সনাক্ত হয়েছে বলে বিবিসির প্রতিনিধির কাছে স্বীকার করেছেন নেসলের এক মুখপাত্র।
আয়ারল্যান্ডে প্রথম ধরা পড়ার পর থেকে ইউরোপজুড়ে একের পর এক গরুর মাংসের স্থলে ঘোড়ার মাংসযুক্ত খাদ্যপণ্য আবিষ্কৃত হতে থাকে। এতে ইউরোপে মাংস ব্যবসায় মারাত্মক সঙ্কট তৈরি হয়।
এক জরিপে দেখা গেছে, কেলেঙ্কারী ফাঁস হওয়ার পর থেকে যুক্তরাজ্যের প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষ মাংস কেনা কমিয়ে দিয়েছে।