আফ্রিকার দেশ ঘানা সে দেশের রাজধানী আক্রার কাছে তথ্যপ্রযুক্তি শহর নির্মাণ করতে যাচ্ছে। সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট জন মাহামা হোপ সিটি নামের এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৬৬০ কোটি পাউন্ড। আশা করা যাচ্ছে নির্মাণাধীন এ স্থাপনা আগামী তিন বছরের মধ্যে সবার জন্য উন্মুক্ত করা যাবে।
শহরটি উদ্বোধন করা হলে হোপ সিটি হবে আফ্রিকার উচ্চতম স্থাপনা। এক বিনিয়োগকারী জানান, মূল দালানটির উচ্চতা হবে ২৭০ মিটার (৮৮৫ ফুট)। পতিত একটি জমিতে নির্মিতব্য এ স্থাপনায় ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। সেই সঙ্গে ২৫ হাজার ব্যক্তি একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন এখানে।
অন্যদিকে গত জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির আদলে আফ্রিকার সিলিকন সাভানা গড়ে তোলার ঘোষণা দেয় কেনিয়া। ২০ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৫০ কোটি ডলার। রাজধানী নাইরোবির ৬০ কিলোমিটার দূরে গড়ে উঠছে কোনজা টেকনোলজি সিটি নামের এ স্থাপনা। ২০৩০ সাল নাগাদ স্থাপনাটিতে ২ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে।
ঘানার প্রেসিডেন্ট মাহামা জানান, তাদের প্রকল্পের মূল ব্যয় নির্বাহ করবে বেসরকারি কোম্পানিগুলো।
প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো স্থাপনের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি অর্জনের মূল শক্তি জুগিয়ে আসছে সরকার। এবার সময় হয়েছে বেসরকারি খাতের এগিয়ে আসার।
তিনি আরো জানান, এরই মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিসহ বেশ কয়েকটি খাতে বেসরকারি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন। আরএলজি কমিউনিকেশনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রোনাল্ড আগামবাইর বলেন, ‘আমরা শূন্য থেকে অ্যাপ নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। প্রকল্পটি চালু হলে তা হবে বিশ্বের বৃহত্তম পণ্য সংযোজন কারখানা।
প্রতিদিন এখানে ১০ লাখের ওপর পণ্য সংযোজন করা সম্ভব হবে।’ তার বিশ্বাস আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবে ঘানার তথ্যপ্রযুক্তি খাত। হোপ সিটিতে থাকবে ছয়টি টাওয়ার, যার মধ্যে একটির উচ্চতা হবে ২৭০ মিটার। ৭৫তলাবিশিষ্ট টাওয়ারটি হবে আফ্রিকার উচ্চতম দালান। আরএলজির ওয়েবসাইটে জানানো হয়, স্থাপনাটিতে আরো থাকবে একটি তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আবাসিক এলাকা, হাসপাতালসহ সামাজিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলার জায়গা।
আয়তন ও জনসংখ্যায় পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশ হওয়া স্বত্বেও শিক্ষা, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে অন্যান্যদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে আফ্রিকা।