:: সুস্বাস্থ্য ডেস্ক ::
আমদের সবার মধ্যেই একটি বদ্ধমূল ধারণা আছে জুস এবং অন্যান্য পানীয়ই শুধু আমাদের শরীরকে চাঙা করে। তবে শুধুমাত্র এসবের উপর নির্ভর করলে নিজের বারোটা বাজবে। তবে ভরসা রাখতে পারেন সবজির ওপর। শুধু সুস্বাস্থ্য নয় আমাদের স্বাস্থ্যকর ডায়েট চার্টেও জায়গা করে নিতে পারে সবজি। তাছারা গরমে দেহকে ঠান্ডা রাখতেও সবজিকে প্রাধান্য দিতে পারেন সমানতালে।
চিচিঙ্গা
চিচিঙ্গা শরীর ঠান্ডা রাখে, রোগ প্রতিষেধক হিসেবে চিচিঙ্গা বেশ উপকারী। শারীরিক কর্মক্ষমতা ঠিক রাখতে চিচিঙ্গা পুষ্টি উৎপন্ন করে। দেহের শুষ্কতাও রোধ করে চিচিঙ্গা। হার্টের সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে চিচিঙ্গা ঘরোয়া সমাধান। চিচিঙ্গা পাতার রস হার্টের সমস্যায় উপশমকারী।
মিষ্টিকুমড়ো
দেহকে শীতলিকরণ প্রক্রিয়ায় মিষ্টিকুমড়োর জুড়ি মেলা ভার। এতে আছে পটাশিয়াম ও ফাইবার যা ব্লাড প্রেশার ও সুগারও নিয়ন্ত্রণ করে। চর্মরোগ কমাতেও কুমড়ো বেশ কাজে দেয়। তাছাড়া কুমড়ো হজম প্রক্রিয়া বাড়াতেও সাহায্য করে ।
তিতা করলা
চামড়ায় বের হওয়া র্যা শ, ফ্যাঙ্গাসের সংক্রমণসহ গোল কৃমি প্রতিরোধে সাহায্য করে করলা। তেঁতো হলে কি হবে, দুঃচিন্তা ও ডায়াবেটিক রোধে অসাধারণ কার্যকর করলা। এছাড়াও করলা শারীরিক ইমিউনিটি বাড়ায়।
লাউ
নাম যতই নিরীহ হোক না কেন শরীরকে শীতল করতে যথেষ্ট এই লাউ। লাউয়ের বেশিরভাগ অংশে পানি থাকে বলেই এটা দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়াও গ্রীষ্মকালীন গরমে এসিডিটি কমাতে লাউ বেশ উপকারী।
ঝিঙে
গ্রীষ্মকালীন এই সবজি রক্ত পরিশোধনে বড় ভূমিকা রাখে। তাছাড়া রক্তে সুগারও নিয়ন্ত্রণে রাখে ঝিঙে। এই গরমে পাকস্থলিকে স্থিতিশীল রাখতে ঝিঙের দ্বারস্থ আপনাকে হতেই হবে।
শশা
ফাইবার ও ফ্লুইডে সমৃদ্ধ শশা শরীরে ফাইবার ও ওয়াটার ইনটেক বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি, সিলিকা, পটাশিয়াম, ম্যাগনোশিয়াম ও ফাইবার হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে এই সবজিটি। হজম ও কনস্টিপেশনের সমস্যার সমাধানে ডায়েটে রাখতে পারেন শশা। শশা বা শশার রস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও বেশ উপকারী।