মিলিটারী ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি(এমআইএসটি) এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বুয়েট) এর দুটি দলের কল্যাণে নাসার প্রতিযোগিতায় উড়ল বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা।পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাক লাগিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে বাংলাদেশের এই দুটি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশীদের তৈরি রোবট তাক লাগিয়ে দিল বিশ্ববাসীকে।
এমআইএসটি এর ‘এমআইএসটি লুনাবোটিক্স একুশ’ এবং বুয়েটের ‘বুয়েট লুনাবোটিক টিম-২০১৩’ মোট পাঁচটি বিভাগে সাফল্য দেখায়। এরমধ্যে ‘এমআইএসটি লুনাবোটিক্স একুশ’ টিম ‘আউটরিচ’ বিভাগে ১ম, ‘লুনা ওয়াল্ড ওয়াইড অ্যাওয়ার্ড’ বিভাগে ১ম, ‘সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং পেপার’ বিভাগে ২য়, এবং ‘টিম স্পিরিট অ্যাওয়ার্ড’ বিভাগে ৩য় স্থান অধিকার করে। আর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বুয়েট লুনাবোটিক্স টিম-২০১৩’ ‘লুনা ওয়াল্ড ওয়াইড অ্যাওয়ার্ড’ বিভাগের প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জন করার কৃতিত্ব দেখায়।বিগত ২০-২৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ‘কেনেডি স্পেস’ সেন্টারে বিশ্বের সেরা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অংশগ্রহণে ‘লুনাবোটিক্স’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ যাচাই বাছাই শেষে এ প্রতিযোগিতার ফলপ্রকাশ হয় ২৫ মে সন্ধ্যায় (স্থানীয় সময়)।
প্রতিবছর আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞানের নব সৃষ্টি, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং গণিত বিষয়ে আগ্রহী করার জন্য বিশ্বব্যাপী এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
২০১৩ সালে নাসার এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশে থেকে ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো: বুয়েট, চুয়েট, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজী, মিলিটারী ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজী এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। ভার্চুয়াল হিসেবে অংশ নেয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলাদেশের এই দুটি দল আবারো প্রমাণ করলো এই দেশের রয়েছে অমিত সম্ভাবনা।দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এই অর্জন আমাদের আগামী দিনের আশার আলো হয়ে অনুপ্রেরণা যোগাবে।তাদের এই অর্জনে আনন্দে ভাসছে বাংলাদেশের সকল বিজ্ঞানপ্রেমী শিক্ষার্থী।বাংলাদেশে এই প্রতিযোগে অংশগ্রহণের মূল পথিকৃৎ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের অভিনন্দিত করেছে।
[collected from studentbd24.com]