১৯৪৯ সালে প্রথমবারের মতো প্রফেসর জন ভন নিউম্যান কমপিউটার ভাইরাসের ধারণা প্রকাশ করেন। তিনি দেখিয়েছিলেন কিভাবে একটি প্রোগ্রাম স্বয়ংμিয়ভাবে বাড়ে ও ছড়িয়ে পড়ার কাজ করে। নিউম্যান প্রথমবারের মতো এমন একটি কমপিউটার প্রোগ্রামের নকশা করেছিলেন, যা নিজ থেকে তৈরি হতে পারে। আর সে কারণেই তাকে কমপিউটার ভাইরাসের জনক বলা হয়। পরে নিউম্যানের তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে ১৯৭২ সালে ভেইথ রিসাক তার গবেষণার ফল প্রকাশ করেন। সিমেন্স ৪০০৪/৩৫ কমপিউটারের জন্য অ্যাসেম্বলার ল্যাঙ্গুয়েজে একটি পূর্ণাঙ্গ কমপিউটার ভাইরাসের কথা সেখানে লেখা ছিল। ১৯৮০ সালে জারগেন μস তার গবেষণাপত্রে স্বয়ংμিয়ভাবে তৈরি ও ছড়িয়ে পড়া কমপিউটার ভাইরাসের কথা উল্লেখ করেছিলেন, যা মানুষের শরীরের ভাইরাসের মতো আচরণ করে। যা হোক, এসবই ছিল তত্ত্ব ও গবেষণার ফল। যেখানে কোথাও ‘ভাইরাস’ শব্দটির উল্লেখ ছিল না। উপরোল্লিখিত সবাই এ ধরনের কমপিউটার প্রোগ্রামকে ‘অটোম্যাটা’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং কেউ এর ধ্বংসাত্মক দিকে প্রাধান্য দেননি। স্বয়ংμিয় এমন কমপিউটার প্রোগ্রামকে প্রথমবারের মতো ভাইরাস নামে অভিহিত করা হয় ১৯৬৯ সালে গ্যালাক্সি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ডেভিড গ্যারল্ডের ছোট গল্পে। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত তার উপন্যাস হোয়েন হারলি ওয়াজ ওয়ানেও তিনি এমন প্রোগ্রামকে ভাইরাস বলে উল্লেখ করেন। প্রথম কর্মক্ষম ভাইরাস তৈরি করা হয় ১৯৭১ সালে। বিবিএন টেকনোলজিসের বব থমাস পরীক্ষামূলকভাবে ‘μিপার’ নামে একটি ভাইরাস তৈরি করেন, যা শুধু টেনেক্স অপারেটিং সিস্টেমচালিত ডিইসি পিডিপি-১০ কমপিউটারকে আμান্ত করে। ভাইরাসটি এআরপিএনেটের মাধ্যমে বিভিনড়ব টার্মিনালে ছড়িয়ে পড়ে একটি বার্তা প্রদর্শন করতÑ আই অ্যাম দ্য μিপার, ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান! μিপার ভাইরাসকে মুছে ফেলতে ‘রিপার’ নামে একটি প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়েছিল। তবে μিপার তৈরি করা হয়েছিল গবেষণাগারে, উদ্দেশ্য ছিল পরীক্ষা করে দেখা। তবে এমন পেশাজীবী গবেষকের দিয়ে বা গবেষণাগারের বাইরে তৈরি
প্রথম কমপিউটার ভাইরাস ‘এলক ক্লোনার’। হাই স্কুলে পড়ার সময় রিচার্ড ¯েঙঊনটা শুধু মজা করার জন্য ১৯৮১ সালে এলক ক্লোনার তৈরি করেন, যা ফ্লপি ডিস্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে অ্যাপল ডস ৩.৩ অপারেটিং সিস্টেমকে আμান্ত করত। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক ফ্রেড কোহেন তার গবেষণাপত্রে ১৯৮৪ সালে এমন ধ্বংসাত্মক কমপিউটার প্রোগ্রামকে ভাইরাস বলে উল্লেখ করেন।