সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে কী করতে হবে
বিশ্বজুড়ে মহামারির আশঙ্কা−এমন একটি সতর্কবাণী উচ্চারণ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ১১ জুন 2009। সংস্থাটি সংকেত দিল ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ (এইচ১এন১) বিশ্বজুড়ে মহামারি হয়ে আসছে
ধারণা করা হয়েছিল যে নতুন ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ ভাইরাস ছড়ায় নিয়মিত ফ্লুর সংক্রমণের মতোই, মূলত ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের কফ ও হাঁচির মাধ্যমে। তবে সংক্রমিত বস্তু স্পর্শ করে হাত, নাক ও মুখে লাগালেও তা সংক্রমিত হতে পারে। নতুন এইচ১এন১ সংক্রমণ নানা রকমের উপসর্গ ঘটাতে পারে ফ্লু জ্বরের, যেমন−জ্বর, কফ, গলা খুসখুস, শরীরে ব্যথা, মাথা ধরা, গা শিরশির করা ও ক্লান্তি। অনেকের হয় বমি ভাব, বমি ও তরল মল।
সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে কী করা উচিত:
• দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে সবার
• সবাইকে জানতে হবে নতুন এই ফ্লু সম্পর্কে।
• স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সবাইকে এ সম্পর্কে অবগত করবেন এবং বাড়তি সংবাদ পাওয়ামাত্র সবাইকে জানাবেন।
• যে স্থানে এর প্রাদুর্ভাব হয়, সেখানে প্রত্যেকে প্রতিদিন স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ও নতুন ভাইরাসের বিস্তার রোধ করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেবেন:
• কফ, কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় নিজের নাক-মুখ টিস্যু নিয়ে ঢেকে নিতে হবে। ব্যবহারের পর এই টিস্যু আবর্জনার পাত্রে ফেলে দিতে হবে।
• হাত দুটি বারবার সাবানপানি দিয়ে ধুতে হবে, বিশেষ করে কফ-কাশি বা হাঁচি দেওয়ার পর। অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড ক্লিনার বেশ উপযোগী।
• চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা এড়াতে হবে। জীবাণু এভাবে ছড়ায়।
• রোগীদের কাছাকাছি যাওয়া চলবে না।
• ফ্লুর মতো অসুখে আক্রান্ত মনে হলে, লক্ষণ উপসর্গ শুরু হওয়ার পর সাত দিন অথবা লক্ষণ উপসর্গ মুক্ত হওয়ার পর আরও ২৪ ঘণ্টা, সে সময়টি দীর্ঘ, তত দিন ঘরে অবস্থান করতে হবে। এতে অন্যজন সংক্রমিত হওয়া বা ভাইরাসের আরও বিস্তার হওয়া রোধ হবে।
• কোথাও ফ্লুর প্রাদুর্ভাব ঘটলে সে অঞ্চলে জনস্বাস্থ্য কতর্ৃপক্ষের পরামর্শমতো স্কুল বন্ধ করা, ভিড় এড়ানো এবং সামাজিক সম্মেলন বা মেলামেশা এড়ানোর মতো কাজ করতে হবে।
প্রচণ্ড তাপমাত্রায় জ্বর, জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, হাঁচি, কাশি। এ হলো লক্ষণ। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল, গামছা, কাপড়, টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢাকা, দিনে কয়েকবার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা। এমন লক্ষণ হলে বাড়িতে থাকা এবং চিকিৎসাকেন্দ্রে গিয়ে পরামর্শ নেওয়া।