স্থূলতা, হাইপারটেনশন, হাইপার কোলেস্টেরলেমিয়া, ডায়াবেটিস, জন্মগত বা বংশগত ত্রুটি, ইত্যাদির কারণে হৃদরোগ হয়ে থাকে। হৃদরোগের উপসর্গগুলো হলো, বুকে ব্যথা (মনে হবে কেউ সূচালো সুই দিয়ে হৃদপিন্ডে খোঁচা দিচ্ছে), নাড়ির গতি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্বাভাবিকতা শরীরের রং ধূসর বা নীলাভ হয়ে যাওয়া, চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন ইত্যাদি।
এ ধরণের উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে। রসুন, পেঁয়াজ, মাছ, জলজ উদ্ভিদ, বাদাম, কালোজিরার তেল, জয়তুন তেল, সূর্যমুখীর তেল, অর্জুন ছাল, ডালিম, সয়া প্রোটিন, স্ট্রবেরি, গোলাপ ইত্যাদি হৃদরোগ প্রতিরোধে উপকারী। গুরুপাকজাতীয় খাবার (বিরিয়ানি, টিকিয়া, কাবাব, ফাস্টফুড) লাল মাংস, কলিজা, চিংড়ি, ইলিশ মাছ ইত্যাদি খাদ্য শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে বিধায় এগুলো পরিত্যাজ্য।
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে সঠিক রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের যথেষ্ট অভাব রয়েছে এবং একই সাথে রোগ নিরাময় কেন্দ্রের খরচও অনেক।
দেশের বেশির ভাগ মানুষই যেখানে গরিব এবং তিনবেলা খাবার জোটানোই তাদের জন্য কষ্টকর, সেক্ষেত্রে তাদের রোগ নির্ণয়ের খরচ জোগানো অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে উপসর্গ দেখে রোগের প্রাথমিক অবস্থা নির্ণয় একটি কার্যকর পদ্ধতি। এ সম্পর্কে আমাদের সবার সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন।