মুখ ও দাঁতের ক্যান্সার
মুখে ক্যান্সার হয়, এটা সত্যি। এ উপমহাদেশে মুখের ক্যান্সারের হার অন্য অনেক দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এর বড় কারণ পান, বিড়ি, তামাক ইত্যাদি। তাই মুখের ক্যান্সারবিষয়ে আতঙ্কের চেয়ে বেশি প্রয়োজন সচেতনতা। কারণ ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারবেন_প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি বুঝতে পারলে পুরোপুরি ভালো হওয়ার সুযোগও হতে পারে। আর এগুলো সম্ভব কেবল ক্যান্সার বিষয়ে একটু আগেভাগে সতর্ক থাকলেই।
জেনে রাখা ভালো
* মুখের ক্যান্সার শুরুতে খুব ছোট থাকে। সাধারণত সাদা বা লাল রঙের স্পট বা ক্ষত মুখের ভেতরের গালে বা জিহ্বায় বা তালুতে বা ঠোঁটে দেখা দেয়।
* যাঁরা তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করেন, তাঁদের মুখের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
* যাঁরা অ্যালকোহল পান করেন, তাঁদের হয়।
* বেশি সময় রোদে থাকলে ঠোঁটের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
* বদ অভ্যাস না থাকলেও ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবার জন্যই রয়েছে।
যখন ডেন্টিস্ট দেখাতে হবেই
* মুখের ভেতরে কোথাও ক্ষত হলে বা ফোসকার মতো করে চামড়া উঠে গেলে এবং সেই ক্ষত দুই সপ্তাহের মধ্যে না শুকালে।
* মুখের ভেতরের গাত্রের রং গোলাপি থেকে ফ্যাকাসে বা কালো বা অন্য কোনো রঙে বদলে গেলে।
* মুখের ভেতরে শক্ত চাকার মতো কিছু হলে।
* ঠোঁটের কোথাও ব্যথা, অবশ অবশ ভাব হলে।
* চিবানো, গেলা ও কথা বলতে অসুবিধা হলে।
* জিহ্বা নাড়াতে অসুবিধা হলে।
ক্যান্সারের বিপদ যখন
* তামাক ও তামাকজাত (পান, বিড়ি, সিগারেট, গুল, জর্দা, খৈনি) পণ্য, অ্যালকোহল পান করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে তিন গুণ। তবে দেখা গেছে যাদের এসব অভ্যাস ছিল না সে রকম লোকও ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। মোট ক্যান্সার আক্রান্তের মধ্যে ২৫ ভাগ লোকের ক্ষেত্রে এসব কারণ ছাড়াই ক্যান্সার হয়ে থাকে।
* ৪০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি এর চেয়ে কম বয়সীদের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি।
* মুখের ভেতর ধারালো দাঁতের কারণেও ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
* দীর্ঘদিন কোনো টিউমার চিকিৎসা না করালে সেখান থেকে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।