লিসপেনডেস নীতি

Author Topic: লিসপেনডেস নীতি  (Read 2480 times)

Offline arifsheikh

  • Newbie
  • *
  • Posts: 48
    • View Profile
লিসপেনডেস নীতি
« on: June 06, 2013, 12:25:49 PM »
সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫২ ধারায় লিসপেনডেস নীতি বর্ণনা করা হয়েছে। এ নীতির মূল বক্তব্য হলো, আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকলে উক্ত মামলার কোনো পক্ষই মামলার ফলাফলকে প্রভাবিত করার জন্য বিরোধীয় সম্পত্তিটি হস্তান্তর করতে পারবে না।

অর্থা‍ৎ এ নীতি অনুযায়ী মামলার বিরোধীয় সম্পত্তি কোনো পক্ষ হস্তান্তর করে থাকলে তার দ্বারা মামলার ফলাফল কোনোভাবেই প্রভাবিত হবে না।

সংক্ষেপে, মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকাকালীন পক্ষগণ নতুন কোনো অবস্থা সৃষ্টি করতে পারবে না।

ব্রিটিশ কমন ল’ থেকে এ নীতিটির উৎপত্তি।

এ ধারায় মূলত মামলা চলাকালে মামলার বিষয়বস্তু স্থিতাবস্থায় রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫২ ধারায় বলা হয়েছে যে বাংলাদেশের ভেতরে বা বাইরে এখতিয়ারাধীন আদালতে স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে মামলা অথবা কার্যক্রম চলার সময় মামলাটি ষড়য্ন্ত্রমূলক না হলে এবং তাতে সম্পত্তির কোন স্বত্ব সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ও সুস্পষ্টভাবে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়ে থাকলে আদালতের অনুমতি এবং কোন শর্ত আরোপ করলে সে মোতাবেক ব্যতিত আর কোনো পক্ষ এরূপভাবে উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারবেনা যার ফলে আদালতের সম্ভাব্য ডিক্রি বা আদেশের ফলে অন্যপক্ষ যে অধিকার পেতে পারে তা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা ব্যহত হতে পারে।

মামলা চলাকালীন বিষয় বলতে কি বোঝায় সে সম্পর্কে এ ধারার ব্যাখ্যায় বর্ণিত আছে। বলা হযেছে, এ ধারার উদ্দেশ্যে আরজি দাখিল বা কার্যক্রম রুজু হবার তারিখ হতে, আদালতের সৃষ্টি চুরান্ত ডিক্রি জারী হয়ে সম্পূর্ণ দায় পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত মামলা বা কার্যক্রম চলছে বলে গণ্য করতে হবে।

এ নীতিটি প্রয়োগ করতে হলে মামলাটি যথাযথ এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে দায়ের করতে হবে।

কোনো ষড়যন্তমূলক মামলার ক্ষেত্রে এ নীতিটি প্রযোজ্য হবে না ।

আর মামলার বিষয়বস্তু হস্তান্তর হলেও তাতে চলমান মামলার ফলাফলে কোনো প্রভাব পড়বে না।

লিসপেনডেস নীতির উপাদান:

১। স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে কোনো মামলা বা কার্যক্রম আদালতে বিচারাধীন থাকতে হবে।

২। যে আদালতে মামলাটি বিচারাধীন থাকবে সে আদালতের উক্ত মামলাটি বিচার করার এখতিয়ার থাকতে হবে।

৩। অনুরূপ মামলা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়ের থাকতে হবে।

৪। আদালতের অনুমতিক্রমে বা আদালত প্রদত্ত শর্ত মোতাবেক সম্পত্তি হস্তান্তর স্বত্ব বা মালিকানা।

৫। আদালতের বিচারাধীন থাকার সময় মামলার বিষয়বস্তু অর্থা‍ৎ স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারবে না এবং করলেও তার দ্বারা মামলার কোনো পক্ষের অধিকার প্রভাবিত হবে না।

কাজেই, আইনের বিধান মেনে সবারই উচিৎ মামলা চলাকালীন সময়ে মামলার বিষয় বস্তুর কোনো রকম হস্তান্তর না করা। এতে অহেতুক জটিলতা বাড়ে। কিন্তু মামলার রায়ের কোনো পরিবর্তন হয় না।
[/b]
« Last Edit: June 06, 2013, 01:01:10 PM by arifsheikh »
Muhammad Arif Sheikh
Assistant Director( F&A)
Daffodil International University

Offline shilpi1

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 135
    • View Profile
উত্তরাধিকারীর দায়
« Reply #1 on: June 06, 2013, 01:02:10 PM »
কোনো মুসলমান উইল না করে মৃত্যুবরণ করলে তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি সম্পূর্ণই তার ওয়ারিশদের উপর বর্তাবে। কিন্তু যদি সে কোনো উইল করে মৃত্যুবরণ করে, তবে উইলমূলে প্রদত্ত সম্পত্তি বাদে অবশিষ্ট অংশ তার ওয়ারিশগণের উপর বর্তাবে।

মৃত ব্যক্তির দেনা অপরিশোধিত থাকলে সে অজুহাতে ওয়ারিশদের উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি প্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত হবে না। মৃত ব্যক্তির  ওয়ারিশরা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তির নির্দিষ্ট অংশে বাইয়তি স্বত্বাধিকারী বা এজমালি প্রজা হিসেবে উত্তরাধিকার লাভ করবে।
মুসলিম আইনের বিধান অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির সমস্ত সম্পত্তি তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরই তার ওয়‍ারিশদের উপর বর্তায়।

মুসলিম আইনে প্রত্যেক উত্তারাধিকারীর  অংশ পৃথক, নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত। তাই বিধান অনুসারে ওয়ারীশদের মধ্যে যার যে অংশ নির্দিষ্ট করা করা আছে, সেই ‍অনুসারে অবিলম্বে ওয়ারিশরা উত্তরাধিকারসূত্রে সম্পত্তি প্রাপ্ত হবে। প্রত্যক ওয়ারিশের অংশ যেহেতু স্বতন্ত্র ও সুনির্দিষ্ট, তাই একাধিক উত্তরাধিকারীর মধ্যে কোনো একজন অন্যজনের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব দান করতে পারেন না বা তার প্রয়োজনও নেই।

কোনো পাওনাদার মৃত ব্যক্তি থেকে পাওনা আদায়ের জন্য উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির ভোগ-দখলকারী ওয়ারিশদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন