ধূমপানের মরণ ছোবলে যুবসমাজ:
উপক্রমণিকা: ধূমপান স্বাস্থের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ কথা একজন অধূমপায়ী যেমন জানে ঠিক একজন ধূমপায়ীও জানে। তবুও এই মরণ নেশা থেকে ফিরতে পারে না কেউ। উঠতি বয়সী কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত ধুমপানের প্রতি আসক্ত। এ আসক্তি থেকেই অন্য মাদকের প্রতি আসক্তি বাড়ছে বিশেষ করে সমাজের যুব সমাজের। যে কারো ধূমপান করা তার ব্যক্তিগত অধিকার রয়েছে। তবে সমস্যা হল প্রকাশ্যে ধূমপান করা। কারণ ধূমপান একজন ধূমপায়ীকে যতটুকু ক্ষতি করে তার দ্বিগুন ক্ষতি করে একজন অধূমপায়ীকে। একটা কথা সকলের মনে রাখা উচিত একজন ব্যক্তি নিজেই নিজের জীবন ধ্বংস করার অধিকার রাখে কিন্তু অন্যদের জীবন নয়। আমাদের দেশে বেশিরভাগ ধূমপায়ী ব্যক্তি প্রকাশ্যেই বেশি ধূমপান করে। একবারের জন্যও পাশের ব্যক্তির কথা চিন্তা করেনা। আর এজন্য দরকার কঠোর আইন ও তার বাস্তব প্রয়োগ।
ধূমপানের রোধে আইন: ২০০৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প্রণয়ন করা হয়। ওই আইনের ৪ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি কোনো পাবলিক প্লে¬স বা পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করতে পারবে না। 'পাবলিক প্লে¬স অর্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস, গ্রন্থাগার, লিফট, হাসপাতাল ও ক্লিনিক ভবন, আদালত ভবন, বিমানবন্দর ভবন, সমুদ্র বন্দর ভবন, নৌবন্দর ভবন, রেলওয়ে স্টেশন ভবন, বাস টার্মিনাল ভবন, ফেরি, প্রেক্ষাগৃহ, আচ্ছাদিত প্রদর্শনী কেন্দ্র, থিয়েটার হল, বিপণি ভবন, পাবলিক টয়লেট, সরকারি বা বেসরকারিভাবে পরিচালনাধীন শিশু পার্ক এবং সরকার কর্তৃক, সরকারি প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত অন্য যেকোনো বা সকল স্থান।' ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী পাবলিক পরিবহন অর্থ মোটর গাড়ি, বাস, রেলগাড়ি, ট্রাম, জাহাজ, লঞ্চ, যান্ত্রিক সকল প্রকার জন-যানবাহন এবং সরকার কর্তৃক বা সরকারি প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত, নির্দিষ্ট করা বা ঘোষিত অন্য যেকোনো যান। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের ৪ (১) ধারায় বলা হয়েছে, এসব স্থানে ধূমপান করলে ধূমপায়ীর ৫০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে। কিন্তু এই আইন কয় জনে মানে? তাহলে কি বলব এ দেশে আইনের কোন প্রয়োগ নেই? তা না হলে একজন পুলিশ কেমন করে রাস্তার মোড়ে বসে বসে প্রকাশ্যে ধূমপান করে? যদি আইনের রক্ষক হয়ে এভাবে আইন অমান্য করে তবে তা দেশের জন্য খুব ক্ষতিকর।
প্রকাশ্য ধূমপানে পাশের ব্যক্তির ক্ষতি: বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা ধূমপান করেন না কিন্তু আশপাশের মানুষের কাছ থেকে নিত্যদিন সিগারেটের ধোঁয়া গ্রহণ করেন, তাঁদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায় অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। যাঁরা বহু দিন ধরে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার, তাঁদের ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। হৃৎপি-ের পাকাপাকি ক্ষতিতে পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাব অনেক বেশি। পরোক্ষ ধূমপান কখনো কখনো স্ট্রোকের জন্য দায়ী। শ্বাসকষ্টজনিত রোগের, বুকে কফ জমে, কাশি হয় , নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস আর হাঁপানির জন্যও অনেকাংশে দায়ী পরোক্ষ ধূমপান। আর এক গবেষণায় দেখা গেছে, যিনি বা যাঁরা পেশাদার ধূমপায়ীদের সঙ্গে বসবাস করেন, তাঁদের হৃদরোগ এবং ফুসফুস ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা অন্যদের তুলনায় অন্তত বেড়ে যায় ৩০ গুণ।
শিশুদের উপর ধূমপানের প্রভাব: শিশুদের বেলায় ধুমপানের ক্ষতিটা হয় আরও মারাত্মক। শিশুদের বাড়ন্ত শরীরে পরোক্ষ ধূমপান বড় খারাপ প্রভাব ফেলে। তাঁদের হৃৎপি- স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে না। পরোক্ষ ধূমপানে শিশুর ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে ব্রঙ্কাইটিস আর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়ে যায় দ্বিগুণ। অবাক হলেও সত্য, পরোক্ষ ধূমপানে শিশু কানের সমস্যায়ও ভোগে কখনো কখনো। আস্তে-ধীরে শিশুর রোগ প্রতিরো ধক্ষমতাও কমতে থাকে। একজন ধূমপায়ী নিজে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, তেমনি তাঁর পরিবারের সদস্যটিকেও টেনে আনছেন ক্ষতির মধ্যে। অথবা তিনি ক্ষতি করছেন তাঁর পাশের মানুষটির এমনকি তার নিজের শিশুটির। নিজের জন্য, তাঁর পরিবারের জন্য, তাঁর ছোট্ট শিশুটির জন্য অথবা তাঁর পাশে বসা অচেনা মানুষটির ক্ষতি এড়াতে তাঁর যেমন ধূমপান ছাড়া উচিত, ঠিক তেমনি অধূমপায়ীদেরও সচেতন হতে হবে পরোক্ষ ধূমপানে।
যুবসমাজের ভ্রান্ত ধারণা: মাদকের ভয়াল থাবায় হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের যুবসমাজ । এইজন্য অনেকটা দায়ী বেকারত্ব, হতাশা, বন্ধু-বান্ধবের প্ররোচনা, পারিবারিক অশান্তি, পাশ্চাত্য জীবনের অন্ধ অনুসরণ ইত্যাদি । দুঃখজনক হলেও সত্য যে অশিক্ষিত যুবসমাজ না বুঝে বা এর ভয়াবহতা না জেনে ঐ পথে ধাবিত হয়েছে । কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় আমাদের শিক্ষিত যুবসমাজ তো এর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানে তারা কেন ঐ পথে ? এখন কলেজ লেভেলের অনেক ছাত্র ধূমপানে আসক্ত । তারা অনেকে সৌখিনতা ও কৌতূহলবশত এই পথে । অনেকের আবার একটা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে- সিগারেট খেলে নাকি মেয়েদের আকৃষ্ট করা যায় । এই রকম কিছু কৌতূহলতার কারণে আমাদের যুব সমাজ মারাতœক ভাবে বেগতীক হয়ে যাচ্ছে । যার লাগাম টানা এখনই দরকার।
মাদকের আগ্রাসন: মাদকের মরণ থাবায় পিষ্ট দেশ। শিশু থেকে শুরু করে বয়ো:বৃদ্ধ লোক পর্যন্ত এখন এই নেশায় মত্ত। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দেশের যুবসমাজ। মাদকের বিষাক্ত ছোবলে অনৈতিক কাজ কর্মে জড়িয়ে পড়ছে তরুণ প্রজম্ম। হোক সে শিক্ষিত বা অশিক্ষিত, মাদকের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা কেউ। মাদকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সবাই জানে তবুও এই নেশা ছাড়তে চায় না আধুনিক যুবসমাজ। সবচেয়ে কষ্ট লাগে যখন দেখি আমাদের শিক্ষিত যুব সমাজ এই মাদকের পেছনে ছুঁটে। কৌতুহলবসে শুরু করে আর পাশ্চাত্য অপসংস্কৃতিকে লালন করতে তা সেবন করে চলে। এটাই এখন শিক্ষিত যুব সমাজের কাছে ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে ছোট শিশুরা যাদের এই বয়সে স্কুলে পড়ার কথা, তারাও রেল লাইন ও বিভিন্ন বস্তিতে বসে মাদক সেবন করছে যা আগামী প্রজম্ম ও দেশের জন্য মারাত্মক অশুভ সংকেত। এখনি যদি এই শিশুগুলোকে রক্ষা করা না যায় তবে এর পরিনতি অনেক ভয়াবহ রূপ নিবে। শুধুমাত্র এই মাদকের জন্য হাজার হাজার শিক্ষার্থী খারাপ পথে পা বাড়াচ্ছে। করছে ছিনতাই, খুন ও নানা অপকর্ম।
বাংলাদেশের পরিসংখ্যান তথ্য: বাংলাদেশে ২০-৩৪ বছর বয়সী ধূমপায়ীর সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে যার অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিড়ি-সিগারেটের মূল উপকরণ হচ্ছে তামাক পাতা। দেশে প্রতি বছর ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে তামাকের চাষ হয়। মোট চাষযোগ্য জমির ০.৩৩% জমি তামাক চাষে ব্যবহৃত হয়। বছরে ৪০ হাজার মেট্রিকটন তামাক উৎপাদিত হয়। আর ৬ হাজার ৭শ ১২ মেট্রিকটন তামাক পাতা আমদানী এবং ৪ হাজার ৫শ ৫৪ মেট্রিকটন তামাক পাতা রফতানী হয়। বছরে ২০ হাজার ৩শ মিলিয়ন সিগারেট এবং আনুমানিক ১লাখ ৮ হাজার মিলিয়ন বিড়ি উৎপাদিত হয়। দেশে ১৫ বছরের বেশি বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৩৬.৮% কোন না কোনভাবে তামাক ব্যবহার করছেন। আর ৪১% পুরুষ ও ১.৮% মহিলা ধূমপান করছেন। দেশে বিশেষ করে নিম্ন আয়ের ধূমপায়ীদের মধ্যে সিগারেটের তুলনায় বিড়ির ব্যবহার অনেক বেশি। বিড়ি সস্তা হওয়ায় এ পণ্য যে কোন মানুষের ক্রয় সীমার মধ্যে রয়েছে। ১২ থেকে ২৪ বছর বয়সী কিশোর কিশোরীদের মধ্যে ১.৮% সিগারেট-পান এবং ৪.০% অন্যান্য তামাক ব্যবহার করছে। এছাড়া রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৪০ বছরের বেশি বয়স্ক নারী পুরুষদের ৯০ ভাগই তামাক পাতা ও কাগজ মোড়ানো পাতা সিগারেট পানে অভ্যস্ত। দেশে মোট ধূমপায়ীর সংখ্যার মধ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সংখ্যায় বেশি। এই ধ্মূপানের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আমাদের আধুনিক শিক্ষিত যুব সমাজ। জড়িয়ে পড়ছে নানা আইন বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হারাছে তার শিক্ষার সম্মান।
এত ক্ষতির কথা জেনেও কেন মানুষ ধুমপান করে?
নির্বুদ্ধিতা: ‘নির্বুদ্ধিতা’ শব্দে হয়ত ধুমপায়ীরা মনে কষ্ট পেতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতার ক্ষেত্রে আমাকে বলতে হচ্ছে। প্রতিটা সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে লেখা রয়েছে-
‘ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’
অথবা
‘ধুমপান মৃত্যু ঘটায়’
অথবা
ধূমপান ক্যানসারের জন্য দায়ী
সতর্কীকরণ এ লেখা দেখেও যে ধুমপান করে এবং যে ধুমপানে তার নিজের , তার পাশের জনের এমনকি তার ঘরের অবুঝ শিশুটিরও ক্ষতি হচ্ছে জেনেও সে যদি তাই করে তবে তাকেতো আর সাধারণ বা বুদ্ধিমান বলা যায় না।
অহমিকা: এমন অনেক ব্যক্তিকে দেখেছি অনেকটা অহংকারর সাথে প্রকাশ্যে ধূমপান করতে। কারণ জানতে চাইলে বলে- “আমার টাকাই খাচ্ছি! এতে কার কি?” আসলে এসব মূর্খের সাথে কথা বলা মানে নিজের মান সম্মান খোয়ানো। তাই নিজের মান সম্মান বজায় রাখতে নীরবে সহ্য করতে হয়। এটাই এখন আমাদের দেশের কিছু মানুষের ভাব হয়ে গেছে। একবারের জন্যও ভাবার চেষ্টা করে না তার পাশের ব্যক্তির উপর কি প্রভাব পড়বে। যতদিন এ অহমিকা ভাব ত্যাগ করা যাবে না, ততদিন এ মাদক বিরোধী অভিযান অধরাই থেকে যাবে। বদলাতে হবে আমাদের নিজেদের থেকে। দূর করতে হবে সব ধরণের নষ্ট মানসিকতা।
চাই আশু পদক্ষেপ: এখনি সময় মাদক জাতীয় সব কিছুর বিরুদ্ধে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। আমাদের যুব সমাজকে বাঁচাতে হলে এর কোন বিকল্প নেই। তার জন্য প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা। শুধু আইন নয়, এর প্রয়োগ করতে হবে। আমাদের পরিবারগুলোকে আরো সচেতন হতে হবে। প্রতিটি কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধূমপানমুক্ত করতে সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। চাকরীর বিজ্ঞপ্তিগুলোতে ‘ধুমপায়ীদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই’ শর্ত দিলে শিক্ষার্থীরা ধুমপানে আকৃষ্ট হওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবে। সরকারের প্রতি অনুরোধ সকল প্রকার তামাক ও নেশা জাতীয় দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করুন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে এলাকার তরুণ-তরুণীদের নিয়ে ছোট ছোট গ্রুপ করতে হবে। প্রকাশ্য ধূমপনের বিরুদ্ধে আরো কঠোর আইন করতে হবে। পরিবারের অভিভাবক ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অত্যন্ত সচেতনতার সাথে এ ব্যাপারে দায়িত্ব পালন করতে হবে যাতে পরবর্তী বংশধরদের মাঝে এ অভ্যাস সৃষ্টি হতে না পারে। দেশের সকল সমাজকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে শরীরের জন্য, দেশের জন্য ক্ষতিকর এ সিগারেট বিক্রি না করার। ব্যবসায়ীদের এরকম একটি সিদ্ধান্তই পারে দেশের ধূমপানকে অনেকাংশে কমিয়ে দিতে। ধূমপানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। ব্যাপক ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। দেশের সকল পযার্য়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধূমপান প্রতিরোধ কমিটি করে নিয়মিত কাযর্ক্রম পরিচালনা করতে হবে এবং সমাজে ব্যাপক ভিত্তিতে ধর্মীয় প্রভাব সৃষ্টি করে ধূমপান বন্ধ করতে হবে।
অনুচিন্তন: আবারও বলছি শুধু আইন পাশ করে কাজ শেষ করলে হবে না, সে আইনের যথাযথ প্রয়োগ জরুরী। সবোর্পরি ধূমপানের শারীরিক, সামাজিক, নৈতিক ও ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে এর বিরুদ্ধে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আর এই মরণ নেশা মাদক ও ধূমপান থেকে বাঁচাতে চাইলে আমাদের পরিবার গুলোকে প্রথমেই এগিয়ে আসতে হবে। কারণ পরিবার যদি সচেতন হয় তবে পরিবারের সন্তানরা মাদক থেকে দূরে থাকবে। সাথে সাথে সরকার, প্রশাসন ও শিক্ষকদের ভূমিকাও অপরিসীম। সকলের আন্তরিক চেষ্টায় ও আধুনিক যুব সমাজের সঠিক মনুষ্যত্বের বিকাশ ও প্রসারের মাধ্যমে এই আগ্রাসন দূরীভূত হবে বলে আমার বিশ্বাস।