সাদা চোখে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন, স্পেন রানার্সআপ। কনফেডারেশনস কাপের এটাই সারমর্ম। কিন্তু মহাদেশীয় শিরোপার এই মহাযজ্ঞে আনন্দ-বেদনা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির আরও গল্প আছে। কনফেডারেশনস কাপের তেমনই কিছু পাওয়া না-পাওয়ার টুকরা ছবি
যেখানে তাহিতি জয়ী
নাহ্, কোনো ম্যাচ জেতেনি তাহিতি। জেতা সম্ভবও ছিল না। বরং টুর্নামেন্টে যে ৬৮টি গোল হয়েছে, তার ২৪টিই ঢুকেছে তাহিতির জালে! কিন্তু প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ দেশটি তার পরও প্রতিটি ম্যাচ খেলেছে হাসিমুখে। একটি মাত্র গোলের পর তাদের উদ্যাপনটা ছিল সম্ভবত এ টুর্নামেন্টের সেরা।
এক গোলেই নায়ক
পুরো টুর্নামেন্টে তাহিতির হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন জোনাথন তেহাউ। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে। গোলের পর তেহাউকে দেখে মনে হয়েছিল, তিনি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন, আর তাহিতির উচ্ছ্বাস বলছিল, তারা যেন কনফেডারেশনস কাপ জিতে গেছে। যদিও ওই ম্যাচেই পরে তেহাউ একটা আত্মঘাতী গোলও করেছেন!
দুই ‘সেঞ্চুরিয়ান’
উরুগুয়ের ডিয়েগো ফোরলান ও ইতালির আন্দ্রেয়া পিরলো নিজেদের শততম ম্যাচ খেলেছেন এই টুর্নামেন্টেই।
দেশের হয়ে এক শ ম্যাচ খেলতে পারা দারুণ গৌরবের। দুজনই শততম ম্যাচে গোলও করেছেন। যদিও ফোরলান পরে পেনাল্টি নষ্ট করেছেন ব্রাজিলের বিপক্ষে। ইতালির বিপক্ষে পেনাল্টি শুট আউটেও একই কাজ করেছেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার।
তাহিতির ত্রিরত্ন
গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে তিন গোলরক্ষককে মাঠে নামিয়েছেন স্পেন কোচ ভিসেন্তে দেল বস্কও। কিন্তু সেটা একধরনের বিলাসিতায়। তাহিতি কোচ কাজটা করেছেন অনেকটা বাধ্য হয়ে। তাঁর তিন গোলরক্ষক জাভিয়ের সামিন, মিকাইল রোচে আর জিলবার্ট মেরিয়েল প্রতি ম্যাচেই হজম করেছেন অন্তত আধডজন গোল!
আনলাকি থারটিন বোনুচ্চি
পেনাল্টি শুট আউটে তাঁর আগে ১২ জন বল জালে পাঠালেন সফলভাবে। ১৩ নম্বরে এসেই সব ভন্ডুল করে দিলেন ইতালির ডিফেন্ডার লিওনার্দো বোনুচ্চি। হেসুস নাভাস ১৪ নম্বর শটটা ইতালির জালে পাঠিয়ে নিশ্চিত করলেন স্পেনের ফাইনাল। ভাগ্য ছাড়া আর কাউকে কি দোষ দিতে পারতেন বোনুচ্চি?
উৎসবের ব্রাজিল
প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ আপাতত কিছুটা স্বস্তি পেতেই পারেন। আন্দোলন বাদ দিয়ে আগামী কিছুদিন হয়তো কনফেডারেশনস কাপ জয়ের উৎসবেই মেতে থাকবে ব্রাজিল। অনেক চেষ্টা করেও যে গণবিক্ষোভ থামাতে পারছিলেন না, সেটা থেকে আপাতত নজর সরেছে সবার।