রোজার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যতম আমল সেহেরি। রোজার নিয়তে সেহেরি খাওয়া সুন্নত। রাসুল সা. বলেছেন, “সেহেরি খাও, তাতে বরকত আছে।’’ সেহেরি পেট ভরে খাওয়া জরুরি নয়। সামান্য খেলেও সেহেরির সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। শেষ সময়ে সেহেরি খাওয়া মুস্তাহাব। তবে লক্ষ রাখতে হবে, সময় যেন পার না হয়ে যায়।
ইহুদি-খৃস্টানদের রোজায় সেহেরির বিধান ছিল না। ইসলামের প্রথম যুগেও সেহেরি ছাড়াই রোজা রাখা হতো। পরবর্তী সময়ে রাসুল সা. সেহেরি খাওয়ার বিধান নির্ধারণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের রোজা ও আহলে কিতাবদের (ইহুদি-খৃস্টান) রোজার মধ্যে পার্থক্য হলো সেহেরি খাওয়া।’’
সেহেরি সুবহে সাদিকের আগেই খেতে হয়। এরপর কিছু খেলে রোজা হবে না। অনেকে মনে করেন, ফজরের আজান পর্যন্ত সেহেরির সময় থাকে। এটা ঠিক নয়। কেউ যদি সেহেরির সময় আছে মনে করে খেয়ে ফেলে আর বাস্তবে সময় না থাকে তাহলে তাকে রোজা কাজা করতে হবে।
সেহেরির সময়টি আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভের বিশেষ সময়। এ সময়ের ইবাদত-বন্দেগি আল্লাহর কাছে কবুল হয় বেশি। সম্ভব হলে সেহেরির সময় কয়েক রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে নেয়ার কথা হাদিসে আছে। সেহেরি খাওয়ার আগে-পরে সময়টুকু ইবাদতে কাটানো উচিত।
Md.Yousuf Miah
Accounts Officer
Daffodil International University