আজ (11.07.2013) প্রথম আলো প্রত্রিকার ১০ নং পাতার চিঠিপএ অংশে বিসিএ কোটা নিয়ে লিখেছেন পার্থ কমল কুন্ডু, খবরটি পড়ে মনটা এতোই ভালো লাগলো বলার মতো না। তিনি লিখেছেন বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকার কারনে মেধবীরা বাঞ্চিত, এই ৩০ % তাদের ক্ষতির কারন। জীবন প্রাণ-বাজি রেখে যারা এই বাংলাদেশ স্বাধীন করলো,তাদের ৩০% কোটা দেয়ার কারনে আপনাদের বিরাট ক্ষতি হচ্ছে, এই নিয়ে আন্দোলন করেন। একবার ভেবে দেখুন স্বাধীন যদি না হতো পারতেন কি আন্দোলন করতে?পারতেন না, পাক-বাহিনর হাতে জিম্মি থাকতে হতো।আপনারা এতোই যখন মেধাবী, বাংলাদেশের বিবিস পরীক্ষা চিন্তা করেন কেন, গুগলে, ফেসবুকে এডমিশন দিন।এখন আপনারাই চিন্তা করুন আপনারা কি মেধাবী নাকি আন্দোলনকারী। ধিক্কার জা্নাই আপনাদের।দেশে ১৬ কোটি লোকের মধ্যে কয় কোটি মুক্তিযোদ্ধা আছে, তার হিসাব কি রাখেন, ৩ লাখও তো হবে না।তাদের ছেলে মেয়েরা কি এক সাথেই বিসিএ পরীক্ষা দেয়।যারা আন্দোলন করছেন তাদের বাব/দাদা/মা যুদ্ধে গেল না কেন, তারা যুদ্ধে গেলে তো আর ৯ মাস লাগতো না যুদ্ধ শেষ করতে।আপনারা বলেন বৈশম্য বিহীন দেশ গড়বেন, এক জন উপজাতি যেভাবে পড়া লেখা করেছেন, আপনি কি সেই ভাবে পড়া লেখা করেছেন।আপনারা বলেন মেয়ে এবং ছেলে অধিকার সমান, বিসিএস এ ৫০% ছেলে ৫০% মেয়ে নিয়ম তো করে নাই।এ বছর এক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৪৫০ আসন শূন্য, জানতে পারলাম, এর কারন মেধাবীরা আগের বার ভর্তি হয়ে, পছন্দ অনুযায়ী সাবজেক্ট না পেয়ে, এ বছর নতুন করে পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হয়েছেন, পছন্দ অনুযায়ী বিভাগে, আপনি কেন ওই ৪৫০আসন নষ্ট করলেন, ওটাতে আপনার চেয়ে কম মেধাবীরা পড়তে পারতো না। এগুলো আপনাদের মেধার পরিচয়।
আমি গর্বিত আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।