বাজার গবেষণা কোম্পানির রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৭ সালের মাধ্যে ৫১.৫ লাখ ক্ষুদ্রকায় সেন্সর যুক্ত স্মার্ট ডিভাইসে স্থাপিত হবে। ভবিষ্যতে সে স্মার্ট সেন্সর কেবল চিকিৎসার ক্ষেত্রে নয়, পরিবারে ব্যবহার্য অটোমেটিক ইলেক্ট্রনিকস্ সামগ্রীতে ব্যবহার করা হবে। যা মানুষের জীবন-যাপনে আরও সুবিধা বয়ে আনা হবে।
আরও উন্নত পর্যবেক্ষণ সিস্টেম বরাবরই বিজ্ঞান-প্রযুক্তি খাতের প্রাধাণ্য পেয়ে থাকে। সেজন্য এক সময়ের চলচ্চিত্রে প্রদর্শিত পুলিশী পূর্বাভাস সিস্টেম সত্যি যদি বাস্তবে সম্ভব হয়ে ওঠে আপনি নিশ্চয়ই তাতে অবাক হবেন না। বর্তমানে এমন আপলিকেশন ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। এ আপলিকেশনের মাধ্যমে পাশ্ববর্তী নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুযায়ী সম্ভাব্য অপরাধের ঘটনা পূর্বাভাস করা যাবে।
ন্যানো প্রযুক্তির মাধ্যমে সৌর প্যানেলকে আরও কার্যকর ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যাবে। সৌর শক্তি পরিবেশ রক্ষার জন্য অনুকূল। কিন্তু সৌর শক্তি প্রয়োগের কিছু সমস্যা রয়েছে। সৌর প্যানেল খুব ভারি এবং এমন বেশি বিদ্যুত উত্পাদন করতে পারে না যা দিয়ে ভারি কোনো মেশিন ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে এই প্যানেল সুর্যালোকের মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশ জ্বালানিতে পরিবর্তন করতে পারে। কিন্তু ন্যানো প্রযুক্তির মাধ্যমে এর এর অবস্থার উন্নতি হবে। ভবিষ্যতে ন্যানো জাতীয় সৌর প্যানেল আকারে ছোট ও অধিক কার্যকর হবে।
হিউম্যান ক্লোনিংয়ের মতো বায়োকেমিক্যাল কৌশল নিয়ে বির্তক রয়েছে অনেক। তথাপিও ওই কৌশলের মাধ্যমে বর্তমানে ইমিটিং গাছপালা নিয়ে অনেকে চিন্তা চলছে। সাইন্সফিকশন সিনেমায় যেসব ভয়ানক দৃশ্য দেখি, ভবিষ্যতে আমরা হয়তো সত্যি সত্যি সেগুলো সৃষ্টি করতে পারবো। সেজন্য বায়োকেমিক্যাল কৌশলের মাধ্যমে মানব জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে সক্ষম এমন নীতিমালা প্রণয়ন ও নিরাপত্তা সিস্টেম গড়ে তোলা প্রয়োজন।
আইপ্যাডে মাই জিনোমি শিরোনামে একটি আপলিকেশন আছে। এ আপলিকেশন জেন স্ক্যান এর উৎস। অর্থাৎ ভবিষ্যতে জিন স্ক্যান ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা যায়। জিন স্ক্যানের মাধ্যমে লোকজন সহজে কোন ধরণের রোগে আক্রান্ত হয়েছ, সহজেই তা জেনে নিতে পারবে। ফলে এই এ্যাপ্লিকেশন রোগ প্রতিরোধের জন্য অনুকূল ও কার্যকর একটি ব্যবস্থা হয়ে উঠবে আশাকরা যায়।
