দুষ্টুমি করতে বুদ্ধি লাগে। সঠিক পথ দেখানো গেলে এই দুষ্টুবুদ্ধিই একসময় জীবন পাল্টে দিতে পারে। গবেষকদের ধারণা এমনই। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, অতি দুষ্টু কিশোররাই পরিণত বয়সে আত্মপ্রতিষ্ঠিত কোটিপতি উদ্যোক্তায় পরিণত হয়। কেননা দুষ্টু কিশোররা যেকোনো ধরনের ঝুঁকি নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। তা সেই ঝুঁকি বৈধ বা অবৈধ যা-ই হোক না কেন। এ বিষয়গুলো পরিণত বয়সেও তাদের মধ্যে থেকে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিকস রিসার্চের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দুষ্টু ছেলেদের সফল উদ্যোক্তা হওয়ার কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। আর উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এবং ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের কথা। তাঁরা দুজনই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েন।
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, অতীত অভিজ্ঞতা ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণেই দুষ্টুরা সফল হয়।
ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির রোস লেভিন এবং লন্ডনের স্কুল অব ইকোনমিকসের ইয়োনা রুবিনস্টেইন এই সমীক্ষা পরিচালনা করেন। একক ও যৌথ ব্যবসার ভিত্তিতে তাঁরা উদ্যোক্তাদের দুটি ভাগে ভাগ করেন। ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত জন্মগ্রহণকারী মোট ১২ হাজার ৬৮৬ জনের ওপর তাঁরা সমীক্ষা চালান। এতে দেখা যায়, আত্মপ্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তাদের আয় অনেক বেশি। সমীক্ষায় বলা হয়, অত্যন্ত সফল উদ্যোক্তাদের মধ্যে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে। এর মধ্যে রয়েছে ভালো শিক্ষা, উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে এসেছেন, যেখানে মা-বাবা দুজনই ছিলেন, বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষায় খুব ভালো স্কোর করেছেন, প্রখর আত্মসম্মানবোধ, আগ্রাসী মনোভাবসম্পন্ন, ঝুঁকি নিতে পারেন ইত্যাদি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবিষ্যতে নেতাও হতে পারে তারা। অন্যদের তুলনায় তাদের মধ্যে আগ্রাসী, অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ তৎপরতার প্রবণতাও বেশি। সূত্র : ডেইলি মেইল